বাজারে সজনে ফুল উঠেছে। সজনে ফুল ভাজা, চচ্চড়ি বা বড়া সত্যিই সুস্বাদু। তবে এর পুষ্টির কথা জানলেও আপনি অবাক হয়ে যাবেন। গ্রামবাংলার এই সাধারণ ফুলের স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে অনেকেই পুরোপুরি জানেন না। সজনে ফুলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
সজনে ফুলে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং পটাসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। এছাড়াও এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।
ইমিউনিটি সিস্টেম মজবুত করে:
সজনে ফুলে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি সর্দি-কাশি ও অন্যান্য সাধারণ অসুখ প্রতিরোধে কার্যকর।
হাড়ের গঠন মজবুত করে:
ক্যালসিয়াম থাকার ফলে সজনে ফুল হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে। বিশেষত বয়স্কদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী।
রক্ত পরিষ্কার রাখে:
সজনে ফুলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়:
সজনে ফুল নিয়মিত খেলে ত্বক উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর থাকে। এতে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।
হজমশক্তি উন্নত করে:
সজনে ফুলে থাকা ফাইবার পেটের জন্য দারুণ। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
সজনে ফুল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এতে কার্বস খুব কম। কিন্তু ফাইবার অনেক বেশি। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
সজনে ফুলের পকোড়া, ঝোল বা ভাজা - যে কোনওভাবেই খাওয়া যায়। তবে চেষ্টা করবেন কম তেলে ভাজা বা চচ্চড়ি রেঁধে খেতে। খুব বেশি সময় ধরে হাই ফ্লেমে রাঁধবেন না। তাতে পুষ্টিগুণ নষ্ট হবে। রান্নার আগে ফুল অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া উচিত।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সজনে ফুল অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। নতুন কিছু খাবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।