বয়স আটকে রাখা যায় না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়বেই। তবে সময়ের আগে শরীরের বয়স যাতে বেড়ে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখাই যায়। এখনকার ব্যস্ত জীবনে নিজের জন্য় সময় বের করাটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আর সে কারণেই অল্প সময়ের মধ্যে কিছু কাজ করলেই ফল পাওয়া যায়। বয়স বাড়লে বাড়তে থাকে বলিরেখা। একাধিক সমস্যা দেখা দেয় ত্বকে। পড়ে যায় মাথার চুল। চুলের রঙও বদলায় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে।
তবে এই অবস্থা থেকে কীভাবে মুক্তি পাবেন? সে কথাই বলব আপনাদের। ঘুম এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে। দৈনিক আট ঘন্টা ঘুমানো তো বটেই, তবে এর সঙ্গে আপনি কীভাবে ঘুমাচ্ছেন সেটাও একটা বড় ব্যাপার। সে দিকটা খেয়াল না রাখলে সমস্যা বাড়তে পারে। আপনার ঘুমোনোর পদ্ধতি যদি সঠিক হয়, তাহলে কিছুটা হলেও ঠেকিয়ে রাখা যায় বয়সকে। তথ্য বলছে, বালিশে মুখ গুঁজে শুলে বাড়তে পারে মুখের বলিরেখা। এ ছাড়াও বালিশে মুখ গুঁজে শুলে মুখেও ছাপ পড়ে বয়সের।
কেন বালিশে মুখ গুঁজে শুতে বারণ করা হয়?
বালিশে মুখ গুঁজে শুলে সমস্যা হতে পারে। কোনও দিকে কাত হয়ে শুলেও, মুখের সেই দিকের রক্তচাপ বাড়তে থাকে। আর তার জেরেই বাড়ে বলিরেখা। ফলে কেউ মুখ গুঁজে শুলে, এমনকি কাত হয়ে শুলেও মুখে বয়সের ছাপ পড়ে। তাই ঔজ্জ্বল্য কমে যায়। সে ক্ষেত্রেও মুখে বয়সের ছাপ পড়ে।
কীভাবে ঘুমানো উচিত?
তাহলে কীভাবে ঘুমোলে মুখে বয়সের ছাপ পড়বে না? তথ্য বলছে চিত হয়ে শোয়া মুখের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তাতে ত্বক ভাল থাকে। আবার ত্বকে বলিরেখাও দেখা যায় না। এ ছাড়াও চিত হয়ে শুলে মুখের ত্বকের সব গ্রন্থি বাতাসের সংস্পর্শে আসে ও বাতাসের জলীয় বাষ্প ও অক্সিজেন ত্বক ভাল রাখে। এ ছাড়াও সারা দিনে অন্তত ৮ ঘণ্টা গভীর ভাগে ঘুমোন। তাতে ভাল থাকবে শরীর। আর আপনার বয়সও হুহু করে বেড়ে যাবে না।