Health Tips: স্থূলতা, হাই ব্লাড প্রেশার, হাই কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস ও পাইলস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। তাদের নিরাময়ের জন্য আর ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। জল পান করেও এই ধরনের ১৮টি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর উপকারিতা সম্পর্কে আয়ুর্বেদ বলছে, 'সকালে বিছানা থেকে উঠে ঠান্ডা জল পান করুন। তাহলে বৈদ্য আর গৃহে আসবে না।'
আয়ুর্বেদ বলছে, ভোরে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বাসি মুখে মাটির পাত্র যেমন কুঁজো বা কলসির জল পান করলে উপকার পাওয়া যায়। এটি অনেক রোগ নিরাময় করে এবং ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। এই জল অনেক রোগে উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
বাসি মুখের জল পান করলে ১৭টি রোগ থেকে মুক্তিআয়ুর্বেদে এর উপকারিতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, এভাবে জল খেলে ১৮টি রোগ নিরাময় হতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে পাইলসের প্রদাহ, আইবিএস, জ্বর, পেটের অসুখ, বার্ধক্য, কুষ্ঠ, চর্মরোগ, ফ্যাট মেটিবলিজম, ডিসুরিয়া, হেমোরেজিক ডিসঅর্ডার, কানের ব্যধি, গলার ব্যধি, মাথার ব্যধি, কোমরের ব্যধি, চোখের ব্যধি, বাত রোগ, পিত্তজনিত রোগ এবং কফ রোগ।
এইভাবে করুন আয়ুর্বেদিক প্রতিকার
এই প্রতিকারটি সকালে ঘুম থেকে উঠে ই করতে হয়। সূর্য ওঠার আগে এই ব্যবস্থাগুলো করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। ঘুম থেকে ওঠার পরপরই এটি করা উচিত, তবে কিছু লোকের জন্য পদ্ধতিটি পরিবর্তিত হবে।
মাটির পাত্রের জল কখন ক্ষতি করে?
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমে মাটির পাত্রের জল পান করা উচিত তবে কাশি রোগে আক্রান্ত রোগীদের এটি থেকে দূরে থাকা উচিত। এই ধরনের লোকেরা ঠান্ডা আবহাওয়াতেও হালকা গরম জল পান করতে পারেন। কিন্তু ইষদুষ্ণ গরম জল পিত্তজনিত রোগের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।
এইভাবে এটি প্রভাব দেখায়
আপনি ঘুম থেকে উঠে যখন প্রথম জল পান করেন, তখন আপনার শরীর পরিষ্কার হতে শুরু করে। টক্সিন অন্ত্র থেকে বেরিয়ে মলদ্বারে পৌঁছায়। যার কারণে পেট সহজে পরিষ্কার হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য, পরিপাকতন্ত্র ও মূত্রাশয় পরিষ্কার করে অনেক রোগ দূর হয়।
একজন ব্যক্তির কতটা জল পান করা উচিত?
জলের পরিমাণ প্রত্যেকের জন্য আলাদা। এটা আপনার অভ্যাস অনুযায়ী হতে পারে। তবে শুরুতেই ১-২ লিটার পানি পান করা এড়িয়ে চলুন। আপনি সকালে ১-২ গ্লাস জল দিয়ে এই স্বাস্থ্যকর অভ্যাসটি শুরু করতে পারেন।