বর্তমানে আমরা যত আধুনিক হচ্ছি, ততই আমাদের পূর্বপুরুষদের অভ্যাস হারিয়ে ফেলছি। এর মধ্যে অন্যতম হল কলাপাতায় খাওয়া। আগে গ্রামের বাড়িতে কোনও পুজো-পার্বণ হোক কিংবা বিয়ে সব জায়গায় কলাপাতায় খাওয়ার চল ছিল। আজও দক্ষিণ ভারতে এই প্রথা খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু জানেন কি, কলাপাতায় খাওয়ার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা?
কলাপাতার নিজস্ব কিছু গুণ রয়েছে, যা আমাদের শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। কলাগাছের পাতা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে রয়েছে পলিফেনলস নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
কলাপাতা একধরনের প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক। এতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে না সহজে। তাই এতে খাবার পরিবেশন করলে খাবার অনেকটাই জীবাণুমুক্ত থাকে। প্লাস্টিক বা কাঁচের থালার তুলনায় অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর এই প্রাকৃতিক উপায়।
কলাপাতায় একধরনের প্রাকৃতিক এনজাইম থাকে, যা হজমে সহায়ক। এতে খেলে খাদ্য দ্রুত হজম হয়, গ্যাস-অম্বল কম হয় এবং পেট পরিষ্কার থাকে।
গরম ভাত বা তরকারি যখন কলাপাতায় দেওয়া হয়, তখন পাতার নিজস্ব গন্ধ খাবারে মিশে এক অন্যরকম স্বাদ তৈরি করে। অনেক রাঁধুনি বলেন, কলাপাতায় খাওয়ার ফলে খাবার অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে।
কলাপাতা একেবারেই প্রাকৃতিক। এটি ব্যবহারের পরে সহজে মাটিতে মিশে যায়, কোনও প্লাস্টিকের বর্জ্য তৈরি করে না। তাই এটি পরিবেশবান্ধবও বটে।
কলাপাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের টক্সিন দূর করে।
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ জীবাণু দূর করে।
হজমশক্তি বাড়ায়।
খাবারের স্বাদ ও গন্ধ উন্নত করে।
পরিবেশ বান্ধব ও পুনঃব্যবহারযোগ্য।
আজ থেকেই শুরু করুন কলাপাতায় খাওয়া। সম্ভব না হলে অন্তত সপ্তাহে একবার এই পদ্ধতিতে খাওয়ার চেষ্টা করুন। পুজো-পার্বণ বা কোনও বিশেষ দিনে কলাপাতায় ভোজনের রীতি আবার ফিরিয়ে আনুন।