শীতকাল মানে যেমন উৎসবের মরশুম, পার্টি করার আদর্শ সময়, ঠিক তেমনই ঠান্ডায় অনেক সমস্যাও মাথাচাড়া দেয়। যেমন, রুক্ষ ত্বকের সমস্যা। ঠোঁট ফাটা, গোড়ালি ফাটার মতো সমস্যা তো লেগে থাকেই। তার সঙ্গে যেটা সবচেয়ে ভোগায়, সেটা হল খুশকির সমস্যা। শীতকালে অনেকেই খুশকির সমস্যায় জেরবার হন। বাজারে রকমারি খুশকির শ্যাম্পু ব্যবহার করেও অনেক ক্ষেত্রেই সুফল মেলে না। তা হলে কী ভাবে এর সমাধান করে ঠান্ডায় ফুরফুরে থাকবেন?
ঠান্ডার সময়ে গাঁদা ফুল বাজারে ছেয়ে যায়। এমনকী, অনেকে বাড়িতেও গাঁদা ফুলের গাছ লাগান। শীতকালের সঙ্গে গাঁদা ফুলের যোগ যেন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে রয়েছে। এই গাঁদা ফুল যেমন বাড়ির বাগানের শোভা বাড়ায়, তেমনই আবার পুজোতেও কাজে লাগে। গাঁদা ফুল ছাড়া পুজো ভাবাই যায় না। জানেন কি, গাঁদা ফুল আমাদের নানা ত্বকের সমস্যা দূর করতেও ওস্তাদ। নানা রোগের সঙ্গে লড়াইও করে এই ফুল। এক কথায় যাকে বলে মহৌষধ।
প্রতিবেদনের শুরুতে খুশকির সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। খুশকির সমস্যা দূর করতে গাঁদা ফুল দারুণ কাজ করে। আর কী কী উপকার করে এই ফুল? জেনে নিন...
গাঁদা ফুলের উপকারিতা:
* চুল পড়ার সমস্যা মেটাতে গাঁদা ফুল দারুণ কাজ করে।
*দাদ, খোসপাঁচড়ার সমস্যা দূর করতেও গাঁদা ফুল কার্যকরী।
*খুশকির সমস্যা মেটাতে এই ফুল কাজে লাগে।
*চুলকানির সমস্যা দূরীকরণেও গাঁদা ফুলের উপকারিতা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গাঁদা ফুলে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, মিনারেল। এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
ত্বকের সমস্যার জন্য কী ভাবে গাঁদা ফুল ব্যবহার করবেন?
প্রথমে গাঁদা ফুল পিষে নিন। তার পর থেঁতো করা সেই অংশটা দাদা, খোসপাঁচড়া যেখানে হয়েছে, সেখানে লাগান। গাঁদা ফুল গাছে যে পাতা হয়, সেই পাতার রস কোনও জায়গায় আঘাত হলে রক্তপাত বন্ধ করতেও ব্যবহার করা হয়।
এই ফুল থেঁতো করে মাথায় লাগালে চুল পড়া এবং খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।