Alternatives to Rice and Wheat: ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাওয়াদাওয়ায় নজর রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভাত এবং গমের ময়দা কিন্তু এমন দু'টি খাবার যা বাঙালিরা প্রায় রোজই খান। কিন্তু আপনি কি জানেন, এগুলি হাই গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত। ফলে এগুলি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। তবে, চাল এবং গমের পরিবর্তে কিছু অল্টারনেট অপশনও আছে। এগুলি রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এগুলি সবই আজকাল বাজারে, মুদির দোকানে পাবেন।
বাজরা কিন্তু উত্তর, পশ্চিম ভারতে বেশ জনপ্রিয়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। বাজরা ফাইবার এবং প্রোটিনে সমৃদ্ধ, যা হজম হতে সময় নেয় এবং শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়তে দেয় না। বাজরার রুটি খেতে পারেন। এটি মাখা একটু কঠিন। তবে ডায়াবেটিস বা স্থুলতার ক্ষেত্রে এটি ভাল অপশন।
জোয়ার একটি গ্লুটেন-মুক্ত শস্য, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজমে সহায়তা করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। জোয়ারের রুটি বা পোলাও তৈরি করে সহজেই খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
রাগি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ ভাল। এতে ক্যালসিয়াম এবং ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। এটি ধীরে হজম হয় এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। রাগির দোসা, উপমা বা মাল্টিগ্রেইন রুটি তৈরি করে খাওয়া যায়।
কুইনোয়া একটি সুপারফুড, যা প্রোটিন এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ। এটি কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ। কুইনোয়া দিয়ে সালাড, খিচুড়ি বা স্যুপ তৈরি করা যেতে পারে।
বার্লি বা যব রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে। যবের রুটি বা স্যুপ বানিয়ে খাবারে ব্যবহার করা যায়।
স্টিল কাট ওটস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই ভাল। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে বাড়ায়। সকালে ব্রেকফাস্টে ফল, ভেজানো বাদাম, টকদই দিয়ে খেতে পারেন।
ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকায় চাল এবং গমের বিকল্প হিসেবে বাজরা, জোয়ার, রাগি, কুইনোয়া এবং বার্লি যোগ করা যেতে পারে। এগুলি শুধু রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণেই নয়, পুষ্টিও জোগায়। তবে গুরুতর ডায়াবেটিস থাকলে নতুন কোনো খাবার করার আগে ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।