বাংলার বাজারে একেবারেই সস্তায় পাওয়া যায় এমন একটি মাছ হল বাটা মাছ। অনেকেই ছোট ও কমদামি ভেবে এই মাছকে অবহেলা করেন। অথচ চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে, বাটা মাছ খুব উপকারী। এতে এমন কিছু উপাদান আছে, যা শরীরের বহু সমস্যা দূূর করতে পারে। নিয়মিত এই মাছ খেলে আপনি কোটি টাকার ওষুধের খরচও বাঁচাতে পারেন। কম দামে কিনে ফেলুন বাটা মাছ। নিয়মিত খেলে শরীর থাকবে ফিট, রোগ দূরে থাকবে আর চিকিৎসার খরচও কমবে অনেকটাই। তাই অবহেলা নয়, রোজকার খাদ্যতালিকায় রাখুন বাংলার এই সস্তা অথচ কার্যকরী মাছ – বাটা মাছ।
প্রোটিনে ঠাসা
বাটা মাছ প্রোটিনে ভরপুর। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন বা শরীরে শক্তি বাড়াতে চান, তাদের জন্য বাটা মাছ এক আদর্শ পছন্দ। এটি সহজে হজম হয় এবং পেশি গঠনে সাহায্য করে।
হাড় মজবুত করে
বাটা মাছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের পরিমাণ যথেষ্ট থাকে। এই উপাদানগুলি হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য এই মাছ অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।
হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে
বাটা মাছে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের জন্য উপকারী। এটি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত বাটা মাছ খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রক্তসঞ্চালন ভালো হয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাটা মাছে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।
ত্বক ও চুল ভাল রাখে
এই ছোট মাছেই রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন ই। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং চুলের গোড়া মজবুত করে। নিয়মিত বাটা মাছ খেলে ত্বকে বয়ঃজনিত বলিরেখা পড়ে না সহজে।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
বাটা মাছে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য নিউরো-নিউট্রিয়েন্ট স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে এই মাছ।