ব্রণর সমস্যায় অনেকেই জেরবার। তাদের মুখের ত্বক ফুঁড়ে নিয়মিত ওঠে ব্রণ। তার পর পিম্পেল সেরে গেলেও দাগ যেতে চায় না। এই সময় বিভিন্ন কসমেটিক্সের ব্যবহার শুরু করে দেন তারা।
যদিও এই ধরনের প্রসাধানীতে থাকে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক। আর সেগুলি ত্বকের জন্য ভীষণই ক্ষতিকর। এগুলির জন্য ত্বকে ক্ষত তৈরি হতে পারে। বাড়তে পারে প্রদাহ। যার ফল হতে পারে বেজায় খারাপ।
তাই এই সব রাসায়নিক ছেড়ে ঘরোয়া টোটকায় ধরুন বাজি। তাতেই দেখবেন অনায়াসে ব্রণর দাগ উবে যাবে।
অ্যালোভেরার নেই তুলনা
ত্বকের জন্য সেরার সেরা ভেষজ হল অ্যালোভেরা। এটির রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লামেটরি গুণ। তাই ব্রণর দাগের উপর নিয়মিত এটি লাগান। তাহলেই দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যে উবে যাবে দাগ। পাশাপাশি নতুন করে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কাও কমবে।
তবে দোকান থেকে কোনও অ্যালোভেরা প্রোডাক্ট কিনে এনে মুখে মাখবেন না। তাতে কতটা অ্যালোভেরা থাকে, সেই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বরং চেষ্টা করুন অ্যালোভেরা গাছ থেকে পাতা কেটে মুখে লাগানোর। তাতেই উপকার মিলবে বেশি।
মধু লাগাতে ভুলবেন না
এই সমস্যা সমাধানের সেরা হাতিয়ার হতে পারে মধু। কারণ, মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। সেই সঙ্গে এর প্রদাহনাশক ক্ষমতাও রয়েছে। তাই ব্রণর দাগের উপর মধু লাগালে আদতে মিলবে উপকার। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে উবে যাবে দাগ। ত্বকের জেল্লা বহুগুণে বাড়বে। তাই এখন থেকে খাঁটি মধু মাখুন মুখে।
গ্রিন টি ও মহৌষধি
এই সমস্যা সমাধানের সেরা উপায় হতে পারে গ্রিন টি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর সেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টই ত্বকের মৃত কোষ ফেলে দিয়ে নতুন কোষ তৈরিতে করবে সাহায্য। যার ফলে ব্রণর দাগ উবে যাবে। এছাড়া ত্বকও হবে উজ্জ্বল। তাই নিয়মিত মুখে গ্রিন টি লাগান। দিনে ১০ থেকে ১৫ মিনিট গ্রিন টি লাগালেই কাজ হবে।
হলুদ থাকুক লিস্টে
ব্রণর দাগকে একবারে বিলিন করতে চাইলে হলুদের শরণাপন্ন হন। এতে রয়েছে কারকিউমিন। আর এটি ম্যাজিক উপাদান। এর গুণে অনায়াসে ব্রণর দাগ তুলে ফেলতে পারবেন।
পরিশেষে একটা কথা বলি, খুব বেশি সংখ্যায় ব্রণ হলে নিন চিকিৎসকের পরামর্শ। ফেলে রাখবেন না। নইলে ত্বকের হাল বিগড়ে যেতে পারে। হতে পারে ব্রণ।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।