
আমাদের রান্নাঘরে থাকা প্রতিটি মশলাই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কোনো না কোনোভাবে উপকারী। জিরা হোক বা মেথি, এগুলো খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এমনই একটি মশলা, হল কালোজিরে। এর বীজগুলি ছোট হলেও, খুবই উপকারী। প্রাচীনকালে, মানুষ একে 'জাদুকরী বীজ' বলত।
হৃদপিণ্ডকে শক্তিশালী করা, কোলেস্টেরল কমানো, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা, অথবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যাই হোক না কেন, কালোজিরে শরীরের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। প্রতিদিন ব্রেকফাস্টের পর কয়েকটি বীজ চিবিয়ে খাওয়া অথবা খাবারে যোগ করাই যথেষ্ট।
কীভাবে এই হৃদপিণ্ড ভাল রাখে কালোজিরে?
কালোজিরেতে থাকে থাইমোকুইনোন, কারন্ডাক্রোল এবং নাইজেলি ডিনের মতো যৌগ। একসঙ্গে, এই তিন উপাদান আপনার হৃদপিণ্ড এবং রক্তনালীগুলিকে রক্ষা করে। কালোজিরে ওমেগা-৬ এবং ওমেগা-৯ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা হৃদপিণ্ড এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এগুলিতে ভিটামিন বিও থাকে, যা শক্তি এবং বিপাক উন্নত করে। এ গুলিতে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং জিঙ্কও থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং রক্তের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এর অর্থ হল কালোজিরে কেবল একটি মশলা নয়; এগুলিকে একটি সম্পূর্ণ হহৃদপিণ্ড সুরক্ষা প্যাক হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
এটি কোলেস্টেরল কমাতে কীভাবে সাহায্য করে?
কালোজিরে শরীরের খারাপ চর্বি কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ায়। জার্নাল অফ এথনোফার্মাকোল জিতে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, যারা প্রতিদিন নাইজেলা বীজ খান তাদের LDL (খারাপ কোলেস্টেরল) এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমে, একই সাথে HDL (ভালো কোলেস্টেরল) বৃদ্ধি পায়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
উচ্চ রক্তচাপ (উচ্চ রক্তচাপ) নীরবে হৃদপিণ্ডকে দুর্বল করে দেয়। ফাইটোথেরাপি রিসার্চ-এর একটি গবেষণা অনুসারে, যারা ৮ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন নাইজেলা স্যাটিভা নির্যাস গ্রহণ করেছেন তাদের সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ উভয়ই হ্রাস পেয়েছে। এটি কার্যকর কারণ এটি রক্তনালীগুলিকে শিথিল করে, রক্ত প্রবাহ উন্নত করে এবং হৃদপিণ্ডের উপর চাপ কমায়।
খেলে কী হয়?
১. আপনার খাদ্যতালিকায় কালোজিরা অন্তর্ভুক্ত করলে প্রদাহ কমে, রক্তনালী নরম ও সুস্থ থাকে।
২. এটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে, শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং জল বের করে দেয়।
৩. এটি নাইট্রিক অক্সাইড বৃদ্ধি করে, যারক্ত পাতলা রাখে এবং জমাট বাঁধা রোধ করে।
৪. এটি কর্টিসল (স্ট্রেস হরমোন) নিয়ন্ত্রণ করে, যারক্তচাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং চাপ কমায়।