সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চোখের সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১০ জনের মধ্যে ছয়জন প্রাপ্তবয়স্ক গত ১০ বছরে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন এবং ৪০ শতাংশের মাঝে মাঝে দেখতে সমস্যা হয়। মাত্র ৩১ শতাংশ মানুষ বলেছেন যে তাদের দৃষ্টি সঠিক। ৭৪ শতাংশ মানুষ দাবি করেন যে তাদের দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হচ্ছে, তবে তারা এর লক্ষণ দেখতে পাচ্ছেন না। চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ জোসি ফোর্ট, যিনি ২০ বছর ধরে স্পেকসেভারস-এর চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন, বলেছেন যে এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে যার দ্বারা আপনি জানতে পারেন যে আপনার চোখ দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এগুলোর চিকিৎসা না করলে আপনার চোখ দ্রুত খারাপ হয়ে যাবে।
আপনার চোখ যে দুর্বল হচ্ছে তা চিনতে ডাঃ জোসির উল্লেখিত লক্ষণগুলি জানুন।
১. আপনি যদি কোনো হোটেলে খাবার খেতে গিয়ে থাকেন এবং খাবারের মেনু বা ছোট ছোট শব্দগুলো পরিষ্কারভাবে পড়তে গেলে আপনাকে দূর থেকে পড়তে হবে।
২. আরও ভালভাবে পড়ার জন্য আপনার মোবাইলে শব্দগুলি জুম করতে হয়৷
৩. আপনি যখন জিনিসগুলি পড়ার চেষ্টা করেন তখন আপনার মুখের অভিব্যক্তি পরিবর্তিত হয় যেমন চোখের দিকে বেশি ফোকাস করতে হচ্ছে।
৪. পড়া বা কিছু সূক্ষ্ম কাজ করার জন্য আপনার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বা উজ্জ্বল আলোর প্রয়োজন হতে পারে।
৫. সাধারণ দূরত্বেও পড়ার ক্ষেত্রেও আপনার দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়।
৬. ফোকাস করতে অসুবিধা।
৭. পড়া বা সূক্ষ্ম কাজ করার পরে চোখের চাপ বা মাথাব্যথা।
কীভাবে চোখ সুস্থ রাখবেন
পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন- খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং মিনারেল রাখুন। এগুলি আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি আপনার চোখের জন্যও উপকারী বলে মনে করা হয়। আপনার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি, সবুজ শাক-সবজি এবং মাছ, পালং শাক, কমলালেবু অন্তর্ভুক্ত করুন।
হাইড্রেটেড থাকুন- চোখ এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে চোখের ড্রাইনেসের সমস্যা দূর হয়, যা চোখে আরাম দেয়।
ধূমপান ত্যাগ করুন- ধূমপান অনেক রোগের প্রধান কারণ। এটি বিশেষ করে চোখের স্বাস্থ্যের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। এতে ছানি, অপটিক নার্ভ ড্যামেজ, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস এবং অন্ধত্বের সমস্যা বাড়ে।
স্ক্রিন টাইম ম্যানেজ করুন- দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা চোখের স্বাস্থ্যের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। স্ক্রিন টাইম কমানোর সময়, প্রতি ঘন্টার পর ২০ মিনিটের বিরতি নিন।