বর্তমান সময়ের খারাপ জীবনযাত্রা কারণে অনেকেই অ্যানিমিয়া অর্থাৎ রক্তাল্পতায় ভুগছেন। রক্তের অভাবে একজন ব্যক্তি রক্তশূন্যতা, ক্লান্তি এবং দুর্বলতার মতো সমস্যার সম্মুখীন হন। আরও গুরুতর ক্ষেত্রে, রক্ত জমাট বাঁধা এবং কম প্লেটলেট সংখ্যার মতো সমস্যাগুলিও ঘটতে পারে।
শরীরে দীর্ঘস্থায়ী রক্তের ঘাটতি সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। অনেক খাদ্য উপাদান আছে যা, আয়রন এবং অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং শরীরে রক্ত বাড়াতে পরিচিত। তাই আয়রন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ এসব পুষ্টিকর জিনিস অবশ্যই খেতে হবে নিয়মিত।
পালং শাক: পালং শাক রক্ত বৃদ্ধিকারী সবজি। যা, আয়রন, ফোলেট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এতে উপস্থিত আয়রন লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে। ভিটামিন সি আয়রনের শোষণ বাড়ায়। পালং শাক স্যালাড বা স্মুদি আকারে খেলে আরও পুষ্টি মিলবে।
বিট: বিটকে রক্ত বৃদ্ধির যন্ত্র বললে ভুল হবে না। এটি আয়রন, ফলিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। যা, হিমোগ্লোবিন বাড়াতে দারুণ কাজ করে। এটি স্যালাড আকারেও খেতে পারেন কিংবা এর রস পান করতে পারেন।
ডালিম: আয়রন, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ডালিম লাল রক্ত কণিকা গঠনে সাহায্য করে। শরীরে রক্ত বাড়াতে এটি দারুণ কাজ করে। আপনি যদি আপনার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে চান, তাহলে ডালিমের রস পান করতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
গোটা শস্য: গোটা শস্য আয়রনে সমৃদ্ধ। এটি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ানোর একটি সহজ উপায়। রাগি, জোয়ার এবং বাজরার মতো শস্য শুধু রক্তই নয়, শরীরের সার্বিক স্বাস্থ্যও ভাল করে। এছাড়া ডাল এবং গোটা শস্য প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ। এগুলি শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করে। গোটা শস্যের অদ্রবণীয় ফাইবার, হজম প্রক্রিয়ার জন্য ভাল। রক্তাল্পতা কাটিয়ে উঠতে, আপনি প্রতিদিন ভিজিয়ে রাখা ছোলা বা স্প্রাউট খেতে পারেন।
বাদাম: আমন্ড, চিনাবাদাম, পেস্তা এবং কাজুতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিন থাকে। যা, শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। আপনি যদি প্রতিদিন কোনও না কোনওভাবে এগুলিকে আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন, তাহলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সর্বদা সঠিক থাকবে। আপনি রক্তশূন্যতায় ভুগলে, অবশ্যই রোজকার ডায়েটে ড্রাইফ্রুট অন্তর্ভুক্ত করুন।