Weight Loss Before Durga Puja: ওজন কমানোর জন্য আমাদের কসরতের শেষ নেই। অনেকেই সকাল হলেই দৌড়নো, জিমে যাওয়া, খাওয়া কমানো নানা রকম পদ্ধতি অবলম্বন করি। কিন্তু কিছুতেই যেন কিছু হয় না। কিন্তু কিছু উপায় আছে, যা খুব কঠিন নয় অথচ কার্যকর। এভাবে করলে সহজে ওজন কমে যায়।
ওজন বেড়ে গেলে চিন্তার শেষ থাকে না। শরীরে অনেক সমস্য়া তৈরি হয়। এমনই বলেন চিকিৎসকেরা। ওজন ঝরানো অনেকের পক্ষে কঠিন হতে পারে। কারণ ওজন কমানো বেশ ঝক্কির কাজ। এ ব্য়াপারে সন্দেহ নেই।
শরীরের বাড়তি ওজন কমানোর পর্বে অনেক নিয়ন্ত্রণে থাকতে হয়। তা সে খাওয়া-দাওয়া হোক বা ব্যায়াম। কড়া নিয়ম মেনে চলতে হয়। আর তা না করতে পারলে কোনও লাভই হয় না।
বিশেষজ্ঞদের বিশেষ টিপস
গবেষকদের মতে, অতিরিক্ত চর্বি কমনোর জন্য ট্রাইগ্লিসারাইড অণু থেকে পরমাণুর মুক্তির প্রয়োজন। যা 'অক্সিডেশন' নামে পরিচিত একটি প্রক্রিয়া। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলসের গবেষক রিউবেন মেরম্যান এবং অ্যান্ড্রু ব্রাউন বলেছেন, "চর্বি কমানোর জন্য ফ্যাট কোষগুলিতে উপস্থিত কার্বন নিঃসরণ প্রয়োজন। আর তাই কম খেতে এবং বেশি হাঁটতে বলা হয়।"
বিশেষজ্ঞরা ভাল কথা শুনিয়েছেন, শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ কমাতে এখন আর খুব ভারী ওয়ার্কআউট করার দরকার পড়বে না। স্বাভাবিক ব্যায়ামের সময় অতিরিক্ত শ্বাস-প্রশ্বাস ও শ্বাস-প্রশ্বাসও বাড়তি মেদ কমায়। ফলে যাঁদের ওজন বেড়ে গিয়েছে, এটা তাঁদের কাছে স্বস্তির খবর সন্দেহ নেই।
গবেষণার সময় তিনি দেখতে পেয়েছেন যে যদি শরীরের ১০ কেজি চর্বি সম্পূর্ণরূপে জারিত হয় তবে এর ৮.৪ কেজি কার্বন ডাই অক্সাইড হিসেবে ফুসফুস থেকে বেরিয়ে আসে এবং বাকি ১.৬ কেজি জলে পরিণত হয়।
বিভিন্ন গবেষণায় এটা জানা গিয়েছে যে ফুসফুস হল চর্বি নির্গমনকারী অঙ্গ। তাঁদের মতে, এর মাধ্যমে শরীরের ৮০ শতাংশের বেশি বাড়তি মেদ কমানো সম্ভব। খাদ্যে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট বা প্রোটিন ট্রাইগ্লিসারাইডে রূপান্তরিত হয়। যার মধ্যে তিন ধরনের পরমাণু থাকে। সেগুলো হল কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন।এই বিশ্লেষণ থেকে এটা স্পষ্ট যে এই বিপাকীয় প্রক্রিয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ওজন কমানো সম্ভব। এমনই নিদান দিয়েছেন তাঁরা।