গরু বা মোষের দুধ তো আমরা নিয়মিত খায়। তবে কখনও কি উটের দুধ খেয়েছেন? উটের দুধের উপকারিতা সম্পর্কে আপনি কমই জানেন। উটের দুধ খাওয়া শরীরের অনেক রোগের জন্য উপকারী। এর পাশাপাশি এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। যদি কোনও ব্যক্তির মানসিক সমস্যা থাকে তবে এটি তার জন্য উপকারী হবে। একটি গবেষণা থেকে এটাও স্পষ্ট হয়েছে যে উটের দুধ খাওয়া মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য উপকারী। বিকানের জাতীয় উট গবেষণা কেন্দ্রও উটের দুধ থেকে তৈরি অনেক পণ্য তৈরি করে। আপনি যদি প্রতিদিন এক কাপ উটের দুধ খান তবে এর উপকারিতা আপনাকে অবাক করে দেবে।
মস্তিষ্কের বিকাশ
যেসব শিশু নিয়মিত উটের দুধ খায় তাদের মস্তিষ্ক স্বাভাবিক শিশুদের তুলনায় দ্রুত বিকাশ লাভ করে। শুধু তাই নয়, তার চিন্তা ও বোঝার ক্ষমতাও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক দ্রুত। উটের দুধ শিশুদের অপুষ্টি থেকে রক্ষা করে।
হাড় শক্তিশালী করা
উটের দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এর ব্যবহারে হাড় মজবুত হয়। এতে পাওয়া ল্যাকটোফেরিন নামক উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সহায়ক। এটি খেলে রক্ত থেকে টক্সিনও বের হয়ে যায় এবং এটি লিভারকে পরিষ্কার করে। পেট সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও উটের দুধ ব্যবহার করা হয়।
সহজে হজম
উটের দুধ সঙ্গে সঙ্গে হজম হয়ে যায়। এতে চিনি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, শর্করা, চিনি, ফাইবার, ল্যাকটিক অ্যাসিড, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি২, ভিটামিন সি, সোডিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি রয়েছে। এই উপাদানগুলো শরীরকে সুন্দর ও সুস্থ করে তোলে।
ডায়াবেটিসে উপশম
উটের দুধ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ওষুধ। এক লিটার উটের দুধে ৫২ ইউনিট ইনসুলিন পাওয়া যায়। যা অন্যান্য প্রাণীর দুধে পাওয়া ইনসুলিনের চেয়ে অনেক বেশি। ইনসুলিন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি খেলে ডায়াবেটিস কয়েক মাসের মধ্যে সেরে যায়।
ত্বকের সমস্যা দূর করে
রোগের উপশম ছাড়াও উটের দুধ খেলে ত্বকের উন্নতি ঘটে। উটের দুধে আলফা হাইড্রক্সিল অ্যাসিড পাওয়া যায়। এটি ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে। এই কারণেই উটের দুধ সৌন্দর্য সম্পর্কিত পণ্য তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়।
সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ
উটের দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়। এতে পাওয়া অ্যান্টিবডি শরীরকে সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করে। এটি গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের ম্যালিগন্যান্ট কোষ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। এটি শরীরের কোষ গঠনে সাহায্য করে যা সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি হিসেবে কাজ করে।