ইদানিং কনজাংটিভাইটিস অনেক বেড়ে গিয়েছে। বিশেষত স্কুল পড়ুয়াদের অনেকেরই চোখ ভীষণ লাল হয়ে যাচ্ছে। প্রবল অস্বস্তি, কুটকুট করছে। আর তাদের থেকে বাড়ির অন্য সদস্যদের মধ্যেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। প্রবল ছোঁয়াচে এই রোগে ভুগছেন অনেকে। কারও কারও দাবি, সাধারণ কনজাংটিভাইটিস বা জয় বাংলার চেয়েও এটি বেশি সংক্রামক ও ভয়ানক। তাছাড়া কনজাংটিভাইটিসের প্রভাবও পড়ছে বেশি। চোখ অনেক বেশি লাল হয়ে যাচ্ছে কারও কারও। এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছবি পোস্ট করেছেন অনেকে।
এমনিতেও বর্ষাতে ব্যাকটেরিয়াল বা ভাইরাল সংক্রমণ বেড়ে যায়। তার প্রভাবে বিভিন্ন রোগবালাই বেড়ে যায়। তবে এবারে চোখের এই সমস্যা কিছুটা বেশি হচ্ছে।
কীভাবে বুঝবেন যে কনজাংটিভাইটিস হয়েছে?
প্রথমত, চোখে জ্বালা ভাল থাকবে। জল বের হবে। ব্যাথা করবে। চোখ সময়ের সঙ্গে আরও লাল হতে থাকবে। অনেক ক্ষেত্রে চোখ লাল হয়ে ফুলে যায়। সময় মতো চোখের যত্ন না নিলে বড়সড় ক্ষতি হতে পারে।
সাবধান থাকবেন কীভাবে?
সংক্রামক রোগ। তাই এই বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা আবশ্যিক। কোভিডের দৌলতে সংক্রামক রোগের সাবধানতার বিষয়ে প্রায় সকলেই অবগত। সেই কৌশলগুলিই নতুন করে পালন করুন।
১. চোখে হাত দেওয়া একেবারে বন্ধ করে দিন। সাধারণত জীবাণু থাকা স্থানে হাত দেওয়া হয়। সেই হাত চোখে দিলে ব্যাকটেরিয়া চোখে চলে আসে। ফলে চোখে একেবারেই হাত দেওয়া যাবে না।
২. নিয়মিত হাত ধুতে হবে। ঠিক কোভিডের সময়ের মতোই অভ্যাস। বিশেষত বাইরে ট্রেনে-বাসে যাতায়াতের পর অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। ২০ সেকেন্ড ধরে ভাল করে হাত ধোবেন।
৩. চশমা নিয়মিত সাফ করে পরিচ্ছন্ন রাখুন।
৪. কনজাংটিভাইটিস হয়েছে এমন রোগীর থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।
৫. বাইরে থেকে এসে চোখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন।
কনজাংটিভাইটিস হলে কী করবেন?
উপরে উল্লেক্ষিত লক্ষণগুলি দেখা দিলে, প্রথমেই চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। কনজাংটিভাইটিস হলে ভিড়, স্কুল, অফিসে না যাওয়াই শ্রেয়।