Advertisement

Cannabis: গাঁজা খেলে মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে ৩ গুণ, গবেষণায় সতর্কবার্তা

গাঁজা সেবনকে অনেক দেশে বৈধ করা হলেও, এর স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে নতুন করে সতর্ক করলেন গবেষকরা। প্রিভেন্টিভ মেডিসিন রিপোর্টস-এ প্রকাশিত এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, যারা গাঁজা ব্যবহারের ব্যাধি (Cannabis Use Disorder – CUD) বা আসক্তিতে ভোগেন, তাদের ৫ বছরের মধ্যে মুখের ক্যান্সার, বিশেষত ঠোঁট ও জিহ্বার ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি সাধারণ মানুষের তুলনায় তিনগুণেরও বেশি।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 12 Aug 2025,
  • अपडेटेड 4:46 PM IST
  • গাঁজা সেবনকে অনেক দেশে বৈধ করা হলেও, এর স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে নতুন করে সতর্ক করলেন গবেষকরা।
  • প্রিভেন্টিভ মেডিসিন রিপোর্টস-এ প্রকাশিত এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, যারা গাঁজা ব্যবহারের ব্যাধি (Cannabis Use Disorder – CUD) বা আসক্তিতে ভোগেন, তাদের ৫ বছরের মধ্যে মুখের ক্যান্সার, বিশেষত ঠোঁট ও জিহ্বার ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি সাধারণ মানুষের ত

গাঁজা সেবনকে অনেক দেশে বৈধ করা হলেও, এর স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে নতুন করে সতর্ক করলেন গবেষকরা। প্রিভেন্টিভ মেডিসিন রিপোর্টস-এ প্রকাশিত এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, যারা গাঁজা ব্যবহারের ব্যাধি (Cannabis Use Disorder – CUD) বা আসক্তিতে ভোগেন, তাদের ৫ বছরের মধ্যে মুখের ক্যান্সার, বিশেষত ঠোঁট ও জিহ্বার ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি সাধারণ মানুষের তুলনায় তিনগুণেরও বেশি।

গবেষণাটি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছটি মেডিকেল সেন্টারের ৪৫,০০০-এরও বেশি রোগীর চিকিৎসা-তথ্যের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। ফলাফলে দেখা গেছে, যাদের মধ্যে CUD ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে ০.৭৪% পরবর্তীতে মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন, যেখানে CUD না থাকা গোষ্ঠীতে এই হার মাত্র ০.২৩%। বয়স, লিঙ্গ, বডি মাস ইনডেক্স এবং ধূমপানের অভ্যাস মিলিয়ে হিসাব করলে দেখা যায়, CUD রোগীদের ঝুঁকি প্রায় ৩.২৫ গুণ বেশি। ধূমপানের ইতিহাস থাকলে এই ঝুঁকি বেড়ে হয় প্রায় ৬ গুণ।

CUD কী?
গাঁজা ব্যবহারের ব্যাধি এমন এক অবস্থা, যেখানে ঘন ঘন ও নিয়মিত সেবনের ফলে ব্যক্তি শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক ক্ষতির সম্মুখীন হলেও গাঁজা সেবন বন্ধ করতে অক্ষম হন। পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে অন্তত ১৪টি ‘জয়েন্ট’ সেবনকারীদের মধ্যে এই ব্যাধি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

কেন ঝুঁকি বাড়ে?
গবেষকরা জানিয়েছেন, গাঁজার ধোঁয়ায় তামাকের মতোই ক্যান্সার-সৃষ্টিকারী রাসায়নিক যেমন পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন, বেনজো[এ]পাইরিন ও ফেনল থাকে। এগুলো মুখ ও শ্বাসনালীর কোষ ক্ষতিগ্রস্ত করে, ডিএনএ নষ্ট করে, মিউটেশন ঘটায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে তামাক ব্যবহার না করলেও প্রাক-ক্যান্সারজনিত পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা
গবেষকরা বলছেন, অনেকেই গাঁজাকে ‘নিরাপদ’ মনে করলেও এই ফলাফল প্রমাণ করে যে নিয়মিত ও ঘন ঘন সেবনে মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বাড়ে। তাই গাঁজা সেবনকারীদের সতর্ক হওয়া এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো জরুরি।


 

Read more!
Advertisement
Advertisement