বর্ষার মরসুম চলছে। এই সময়ে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বর্ষাকালে ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়ে যায় জমা জলের কারণে। যা মশার প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হয়। ডেঙ্গি ভাইরাস সংক্রমিত এডিস মশার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। এটি বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে, যার জন্য এমনকি শিশুরাও ঝুঁকিপূর্ণ। জেনে নিন কিভাবে ডেঙ্গু থেকে নিরাপদ থাকা যায়
ডেঙ্গির কিছু উপসর্গের কারণে ধুম জ্বর, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, জয়েন্ট ও পেশী ব্যথা, ফুসকুড়ি এবং ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, এটি আরও গুরুতর হতে পারে, যা ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার নামে পরিচিত, যা মারাত্মক হতে পারে।
১. মশার প্রজনন এলাকা নির্মূল করুন
ডেঙ্গুর প্রধান উৎস এডিস মশা স্থির জলে জন্মায়। আপনার বাড়িতে মশার বংশবৃদ্ধির ঝুঁকি কমাতে, আপনার বাড়ির জলাবদ্ধ জায়গাগুলি সরিয়ে ফেলুন এবং অবিলম্বে জমে থাকা জল পরিষ্কার করুন। এছাড়াও ড্রেন এবং জলের পাইপ পরিষ্কার করুন।
২. পোকামাকড় নিরোধক ব্যবহার করুন
উন্মুক্ত ত্বকে মশা তাড়ানোর ক্রিম প্রয়োগ করলে মশার কামড়ের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। আপনার এলাকায় বা বাড়িতে বেশি মশা থাকলে মশা তাড়ানোর ওষুধ ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন যে তাদের মধ্যে অবশ্যই DEET, picaridin, citronella এবং lemon eucalyptus oil অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
৩. ফুল হাতা জামা-কাপড় পরুন
বাচ্চাদের ফুল হাতা শার্ট, ফুল প্যান্ট ও মোজা পরিয়ে রাখুন। সেই সঙ্গে হালকা রঙের পোশাকও মশা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
৪. জানালা এবং দরজা বন্ধ করুন
মশারি ব্যবহার করুন, যাতে ঘরে মশা প্রবেশ করতে না পারে। এগুলো হতে পারে মশা থেকে রক্ষা পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায়। এছাড়াও, ঘরের ভিতরে ঠান্ডা পরিবেশ বজায় রাখতে ফ্যান বা এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন কারণ ঠান্ডা আবহাওয়ায় মশার কার্যকলাপ কমে যায়।
৫. বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন
প্রয়োজনে পুরো হাতা জামা পরে যান এবং মশা তাড়ানোর ওষুধ লাগান।
৬. ডাক্তারের সাহায্য নিন
আপনার বাড়ির কারো যদি খুব বেশি জ্বর, মাথাব্যথা বা ক্রমাগত বমি হয়, তবে তা ডেঙ্গির লক্ষণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ডেঙ্গিকে গুরুতরভাবে বাড়তে না দেওয়ার জন্য ডাক্তারের সাহায্য নিন।