বাঙালির প্রিয় ভাইফোঁটা। এই শুভ দিনে ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু চান বোন, দিদিরা। সঙ্গে চলে মিষ্টিমুখ। এটাই বাঙালি রীতি। এভাবেই চলে আসছে।
তবে মুশকিল হল, ভাইফোঁটায় মিষ্টিমুখ করার ক্ষেত্রে বেজায় সমস্যায় পড়েন ডায়াবেটিকরা। তাঁরা বুঝতেই পারেন না মিষ্টি খাবেন কি না। আর এই দোটানায় তাঁদের সুগার আরও বাড়ে।
যদিও এই বিষয়টা নিয়ে বেশি চিন্তা করতে বারণ করলেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশিস মিত্র। তিনি একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলা.আজতক.ইন-কে জানান, সুগার রয়েছে বলে ভাইফোঁটায় মিষ্টি খাওয়া এড়িয়ে চলার মানে নেই। বরং কয়েকটি নিয়ম মেনে খেলে এ দিনও অনায়াসে মিষ্টি খাওয়া যাবে।
তাই আর দেরি না করে আসুন সেই সব নিয়মগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
একটা মিষ্টি চলতে পারে
ভাইফোঁটায় মিষ্টি খাওয়াই যায়। তবে সেই কথা শুনে আবার একগাদা মিষ্টি খেয়ে নেবেন না। তাতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। সুগার লেভেল একধাক্কায় আকাশ ছুঁয়ে নিতে পারে। তাই ভাইফোঁটায় একটি হালকা মিষ্টি খাওয়ার পরামর্শ দিলেন ডাঃ মিত্র। তাঁর মতে, দিনে একটা মিষ্টি খেলে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে একটা মিষ্টি খেলেও কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন ধরুন-
হেঁটে নিন
মিষ্টি খাওয়ার পর একটু হেঁটে নিতে হবে। এক্ষেত্রে মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিট হেঁটে নিলেই দেখবেন সুগার লেভেল বাড়ার সুযোগ পাবে না। যার ফলে দেহের একাধিক অঙ্গ সুস্থ থাকবে বলে জানালেন ডাঃ মিত্র।
আর এ দিন শুধু মিষ্টি খেয়ে নয়, বরং সব বড় মিলের পরই ১০ মিনিট করে হাঁটুন। পাশাপাশি আলাদা করে ৩০ মিনিট এক্সারসাইজ করারও পরামর্শ দিলেন তিনি।
অন্যান্য খাবার সমঝে খান
এ দিন মিষ্টি খেয়েছেন। আর এটি হাই ক্যালোরি খাবার। তাই চেষ্টা করুন অন্যান্য হাই ক্যালোরি খাবার এড়িয়ে চলার। সেক্ষেত্রে খাওয়া যাবে না কোনও ভাজা খাবার। এমনকী কম পরিমাণে খেতে হবে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার। আরও নির্দিষ্ট করে বললে ভাত ও রুটি কম খান। তার বদলে শাক, সবজি খেতে পারেন।
পাঁঠার মাংস অল্প খেতে হবে
এ দিন অবশ্যই পাঁঠার মাংস খাবেন। তবে কচি পাঁঠার মাংস খেতে হবে। অত্যধিক চর্বিযুক্ত মাটন খাবেন না। আর সবথেকে ভালো হয়, চিকেন খেতে পারলে। এমনকী চলতে পারে মাছও। এগুলি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সেরা বলে মনে করছেন ডাঃ মিত্র।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।