সামনেই দীপাবলি। আলোর উৎসবে মাতবে বাংলা। আর এই দিন অনেকেই পোড়াবেন বাজি। তাতেই তাঁদের মনের শান্তি।
যদিও মাথায় রাখতে হবে, বাজি পোড়ানোর সময় একটু সাবধান না হলে ত্বকে ক্ষত হতে পারে। পড়তে পারে ফোস্কা। তাই সাবধানে বাজি পোড়ানো জরুরি।
তবে প্রশ্ন হল, যদি একান্তই বাজিতে পুড়ে যায় হাত, পা, সেক্ষেত্রে কী করবেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম কলকাতা শহরের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ রুদ্রজিৎ পালের সঙ্গে। তিনিই আমাদের এই বিষয়টা নিয়ে বিস্তারিত জানালেন।
কী করবেন প্রথমে?
বাজিতে পুড়ে গেলে সেই জায়গায় বারুদ লেগে থাকে। আর এটাই ক্ষতিকর বলে জানালেন ডাঃ পাল। তাই তিনি সবার প্রথমে জায়গাটা ভালো করে ধুয়ে নেওয়ার দিলেন পরামর্শ। এক্ষেত্রে কলের জলের তলায় ক্ষত জায়গাটা ধরে রাখুন। তাতে ক্ষত স্থান ঠান্ডা হবে। যার ফলে ফোস্কা পড়ার আশঙ্কা কমবে কিছুটা।
এর পর সেই জায়গাটিকে খোলা রেখে দিন। তাতেই কমে যাবে সমস্যা। তবে দ্রুত সমস্যা মেটাতে চাইলে Silver Nitrate জাতীয় কোনও মলম লাগিয়ে দিন। এটি অ্যান্টিসেপটিক অয়েন্টমেন্ট। তাই এই মলম লাগালে ইনফেকশনের আশঙ্কা কমবে।
এছাড়া খুব ব্যথা হলে খেয়ে নিন প্যারাসিটামল। তাতেও কিছুক্ষণের মধ্যেই মিলবে আরাম। তবে অন্য কোনও পেইনকিলার খাওয়া যাবে না। তাতে বিপদ হতে পারে।
কী করবেন না?
এই সময় অনেকেই পোড়া জায়গায় মলম বা তেল লাগিয়ে দেন। মনে করেন, তাতেই বুঝি সমস্যা থেকে মিলবে মুক্তি। আর এই কাজটা করতেই বারণ করলেন ডাঃ পাল। তাঁর সোজা কথা, 'এই সব করলে সমস্যা কমে না। উল্টে বাড়ে। তাই এগুলি লাগাবেন না।'
ফোস্কা ফাটাবেন না
অনেকেই নিজের থেকে পাকামি করে ফোস্কা ফাটিয়ে দেন। আর এই ভুলটা করেন বলেই বাড়ে বিপদ। ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই এই কাজটা করবেন না।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
অনেকটা জায়গা পুড়ে গেলে, চোখে আগুন গেলে, খুব ব্যথা বাড়লে বা সেখান থেকে পুঁজ বেরলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নইলে ইনফেকশন বাড়াবাড়ি দিকে মোড় নিতে পারে বলে জানালেন ডাঃ পাল।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।