দীপাবলি, কালীপুজো মানেই আলোর উৎসব। রংবেরঙের আলো ও প্রদীপের যুগলবন্দিতে ঝলমল করবে বাড়ি। পাশাপাশি সন্ধে হলেই ফাটানো হবে বাজি। সঙ্গী হবে ছোটরা। তারাও বাজি ফাটাবে।
তবে মাথায় রাখতে হবে ছোটরা বাজি ফাটানোর সময় সতর্ক হওয়া জরুরি। নইলে বিপদ হতে পারে। পিছু নিতে পারে বিরাট সমস্যা।
এই প্রসঙ্গে ২০২৩ সালের একটি ন্যাশনাল ডেটা জানাচ্ছে, সেই বছর দীপাবলির দিন ২ হাজারের বেশি মানুষ বাজির থেকে চোখের সমস্যা পড়েছিল। যার মধ্যে ৬০ শতাংশের বয়স ছিল ১৫-এর নীচে।
তাই এই কালীপুজোতে ছোটদের চোখের যত্ন নিতে হবে। সেক্ষেত্রে তাদের চোখকে সুরক্ষিত রাখতে এই সব পদক্ষেপ নিতে বললেন ASG EYE হাসপাতালের বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাজি ফাটানোর নিয়ম
১. সবথেকে ভালো হয় ছোটদেরকে বাজির থেকে দূরে রাখতে পারলে।
২. বাজি ফাটানোর সময় তাকে অবশ্যই চশমা পরান। পাওয়ার না থাকলে জিরো পাওয়ারের চশমা পরাতে হবে।
৩. বাজি ফাটানোর সময় অবশ্যই ৫ থেকে ৬ ফুট দূরত্ব রাখুন।
৪. বাচ্চা একা বাজি ফাটালেও তার দিকে নজর রাখুন। কিছু যাতে বিপজ্জনক না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করুন।
৫. বাজি ফাটানোর জায়গায় অবশ্যই জল রাখতে হবে। আগুন লাগলে জল কাজে লাদতে পারে।
৬. নিষিদ্ধ বাজি ফাটাবেন না। তাতে বিপদের আশঙ্কা বাড়বে।
তবে এতকিছু করার পরও যদি সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে কী করতে হবে? সেই উত্তরটাও দিয়েছেন ডাঃ বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি।
কী করবেন?
বাচ্চার চোখে বাজির থেকে আঘাত লাগলে আর অপেক্ষা করবেন না। বরং দ্রুত ছুটুন নিকটবর্তী চোখের হাসপাতালে। সেখানেই সন্তানে চোখের সঠিক খেয়াল রাখা হবে।
এই সময় বাচ্চাকে কোনওভাবে চোখ রগড়াতে দেবেন না। এমনকী তার চোখ কিছু ঢুকে গেলে তা নিজে টেনে বের করার চেষ্টা করবেন না। এমনকী এমন পরিস্থিতিতে চোখে চাপ দেওয়াও যাবে না। পাশাপাশি চোখ ধুইয়ে দেওয়ার থেকেও বিরত থাকুন। এই ভুলগুলি করলে সমস্যা বাড়তে পারে। তাই এমন অবস্থায় ছোট্ট সোনাকে নিয়ে চক্ষু চিকিৎসকের কাছে যান। তিনিই সন্তানের চোখের পরিস্থিতি দেখে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। শুরু করা যাবে চিকিৎসা।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।