
পোলট্রিতে মুরগিকে নানা ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। আর সেই মুরগির মাংস বা ডিম খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করেন একদল মানুষ। তাই তারা নিজে ডিম বা চিকেন খান না। এমনকী অন্যদেরও খেতে বারণ করেন।
এখন প্রশ্ন হল, ঠিক কী ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হয় পোলট্রিতে? সেটা কি আদৌ মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর? আর সেই উত্তরটাই দিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ ইন্দ্রনীল সামন্ত।
এই অ্যান্টিবায়োটিক কি ক্ষতিকর মানুষের জন্য?
এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'আমাদের বাংলাতে পোলট্রিগুলি ছোট ছোট। তাই এখানে সাধারণত মুরগির চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। আলাদা করে কোনও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হয় না। ফলে এর থেকে বিপদের আশঙ্কা অনেকটাই কম। মানুষের ক্ষতি হয় না বলেই একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে।'
কী কী কারণে ব্যবহার হয়?
এই প্রশ্নের উত্তরে ডাঃ সামন্ত বলেন, 'একাধিক কারণে এর ব্যবহার হয়। মুরগির ডায়ারিয়া থেকে শুরু করে নাক দিয়ে জল গড়ানো সহ একাধিক কারণে এই ওষুধ ব্যবহার হয়। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রাণী চিকিৎসকেরাই এই ওষুধগুলি মুরগিকে দিতে বলেন। তাই ভয়ের তেমন কিছু নেই। বরং অনায়াসে ডিম ও মাংস খাওয়া যায়।'
রান্না করুন ভারতীয় স্টাইলে
আমরা অনেকেই এখন হাফ বয়েল ডিম খাই। এমনকী কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাংসও রান্না করা হয় হালকা আঁচে। আর এই সব খেলে মুরগি বা ডিমের ভিতরে কোনও ক্ষতিকর পদার্থ থাকলে তা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই এই ভুল আর নয়। বরং চেষ্টা করুন ভারতীয় স্টাইলে রান্না করার। সেক্ষেত্রে ১০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের উপরের তাপমাত্রায় ডিম সিদ্ধ করুন বা রান্না করুন। তাতেই বিপদ হবে না বলে জানালেন ডাঃ সামন্ত।
বার্ড ফ্লু কি হতে পারে?
ডাঃ সামন্ত বলেন, 'সাধারণত মুরগির ডিম বা মাংস খেয়ে বার্ড ফ্লু হয় না। এটা একটা ভাইরাল অসুখ। এই ভাইরাসে মুরগি আক্রান্ত হয়। এমন পরিস্থিতিতে মাস্ক বা গ্লাভস না পরে যদি কেউ মুরগির সামনে যায়, তাহলে হতে পারে সমস্যা। রোগটা তার হতে পারে। তবে এ ভাবে খুব কম শতাংশ ক্ষেত্রে রোগটা ছড়িয়ে পড়ে।'
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।