
পারদ পতন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। ভোরের দিকে বেশ শীত শীত লাগছে। বন্ধ করতে হচ্ছে ফ্যান। গায়ে দিতে হচ্ছে চাদর। আর এমন পরিস্থিতিতেই অনেকে গরম জলে স্নান করা চালু করেছেন। তাতেই ঠান্ডা লাগাবে না বলে বিশ্বাস তাঁদের।
তবে এই কথার কি সত্যিই কোনও যুক্তি রয়েছে? পারদ পতনের শুরু থেকে গরম জলে স্নান করা কি উচিত? আর এই সব প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতেই আমরা যোগাযোগ করেছিলাম কলকাতা শহরের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ রুদ্রজিৎ পালের সঙ্গে। তিনিই আমাদের এই বিষয়টা নিয়ে বিশদে জানালেন।
এখন থেকে কি গরম জলে স্নান করা উচিত? তাতে শরীর গরম হয়ে যাবে না তো?
এই প্রশ্ন শুনে ডাঃ পাল বলেন, 'ধীরে ধীরে ঠান্ডা পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই ঠান্ডা জলের বদলে গরম জল গায়ে ঢালছেন। আর এটা কিছু খারাপ নয়। এর জন্য শরীর গরম হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। উল্টে এর জন্য স্বাস্থ্যের হাল ফিরে যেতে পারে। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই।'
গরম জলে কারা স্নান করা মাস্ট?
এই সময় হুট করে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে অ্যাজমা রোগীদের সাবধান হতে হবে। তাদের মাঝে মধ্যেই হতে পারে অ্যাজমা অ্যাটাক। যার ফলে শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে। তাই এই রোগীদের অবশ্যই ঠান্ডার বদলে গরম জলে স্নান করতে হবে। তাতে সমস্যার আশঙ্কা কমবে বলে মনে করছেন ডাঃ পাল।
শুধু তাই নয়, যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তাঁরাও এখন থেকেই সাবধান হন। তাঁরাও এই সময় অবশ্যই গরম জলে স্নান করুন। তাতেই উপকার মিলবে। সর্দি, কাশি, জ্বরের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা থাকবে না বলে মনে করেন এই চিকিৎসক।
বাতের রোগীরাও করবেন কী?
'আসলে ঠান্ডা পড়লেই ব্যথা-বেদনা বাড়ে। সহজ ভাষায় বললে এই সময় শরীরের নার্ভগুলি অতি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। যার ফলে বাড়ে ব্যথা-বেদনা। তবে এই রোগীরা যদি গরম জলে স্নান করেন, তাহলে লাভই পাবেন। ব্যথা-বেদনা কমবে।' এমনটাই বললেন তিনি।
খুব গরম জল নয়
অনেকেই সুস্থ থাকতে গিয়ে জল বেশি গরম করে গায়ে ঢেলে ফেলেন। আর এই ভুলে তাদের ত্বকে ক্ষত তৈরি হয়। সেটা আবার অন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই জল খুব গরম করার ভুল একবারেই করবেন না। এটা করলে আদতে ভুগতে পারেন। তার বদলে জল সহনযোগ্য গরম করেই গায়ে ঢালুন। তাতেই কাজ হবে।