
কোভিড ১৯ বা করোনার পর থেকেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার কয়েকগুণ বেড়েছে। কারণ, স্যানিটাইজার হল জীবাণুনাশক। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে হাতে উপস্থিত ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া মারা যায়। যার ফলে ইনফেকশনের আশঙ্কা কমে। তবে বর্তমানে এই স্যানিটাইজারকে নিয়েই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বোঝার চেষ্টা করছে, স্যানিটাইজারে উপস্থিত ইথানল ক্যানসারের কারণ হতে পারে কি না।
আসলে ১০ অক্টোবর দ্য ইউরোপিয়ান কেমিক্যাল এজেন্সি ইথানলকে পোটেন্সিয়াল টক্সিক কেমিক্যাল বলে দাগিয়ে দিয়েছে। এর জন্য ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় বড়সড় বিপদ হতে পারে বলে তাদের রিপোর্টে জানান হয়েছে।
এখন এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন হল, কি স্যানিটাইজার ব্যবহার করা উচিত হবে? ক্যানসারের ভয়ে কি এটা ছেড়ে দেওয়া উচিত? সেই উত্তরটা জানতে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম ঢাকুরিয়ার মণিপাল হাসাপাতালের বিশিষ্ট অঙ্কোলজিস্ট ডাঃ আশুতোষ দাগা।
এর জন্য কি ক্যানসার হতে পারে?
ডাঃ দাগা বলেন, 'কোভিডের পর থেকে সকলেই নিয়মিত স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন। আর তাতে রয়েছে ইথানল। এই উথানল যে 'হ্যাজার্ডাস', সেটা অনেকদিনই জানা গিয়েছে। কিন্তু সেটা নিয়ে ভয় পেয়ে লাভ নেই। বরং নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার। তাতেই ইনফেকশন থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে পারবেন।'
যদিও তিনি এটাও জানিয়ে রেখেছেন যে, এখনও কোনও গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়নি যে স্যানিটাইজার ব্যবহারের জন্য ক্যানসার হচ্ছে। তাই এটা নিয়ে এখনই বাড়াবাড়ি করা ঠিক হবে কি না। তবে আগামিদিনে যদি এই বিষয়টা সম্পর্কে কোনও আপডেট আসে, তখন সেই সম্পর্কে জানানো হবে। সেই অনুযায়ী তৈরি হবে গাইডলাইন। তাই আপাতত ভয় না পেয়ে স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন ডাঃ দাগা।
প্রসঙ্গত, যে কোনও ভাল মানের স্যানিটাইজারে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি পরিমাণে ইথানল থাকে। এটিই মূলত যে কোনও জীবাণুকে মারতে সাহায্য করে। যার ফলে এড়িয়ে চলা যায় একাধিক জটিল সংক্রমণের ফাঁদ। তাই এটা নিয়মিত ব্যবহার করতেই হবে।
কাদের ব্যবহার মাস্ট?
তাতেই সুস্থ থাকতে পারবেন। এড়িয়ে চলা যাবে একাধিক জটিল সমস্যা।