প্রাকৃতিক উপাদানের থেকে ভালো ওষুধ আর হয় না। তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল সজনে পাতা। ভারতের প্রায় সব জায়গায় সজনে গাছ হয়। এটি যেমন পুষ্টিকর তেমনই উপকারী। সজনের পাতা, ডাঁটা সবই খাওয়া যায়। এতে থাকে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। সজনে পাতার শাক ও সজনে ডাঁটা তরকারি খুব সুস্বাদু খাবার।
পুষ্টিবিদরা বলেন, সজনের পাতা ও ডাঁটা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। নিয়মিত খেলে হাড় মজবুত হয়, শরীরে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে, ত্বক ও চুল ভালো থাকে। ক্যানসার প্রতিরোধেও সজনের পাতা কাজে দেয়। শরীরে শক্তিবৃদ্ধির পাশাপাশি অনেক রোগের প্রতিরোধে সাহায্য করে এই পাতা।
কোন কোন উপকার করে সজনে পাতা?
হাড়কে শক্তিশালী করার কাজ করে সজনে পাতা। এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, মজবুত করে। শিশু ও বয়স্ক মহিলাদের জন্য সজনে পাতা বিশেষভাবে উপকারী। যারা গাঁটের বা বাতের ব্যথায় ভুগছেন তাঁদের সজনের শাক খাওয়া উচিত।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো ওষুধ এই সজনের শাক। এতে এমন কিছু উপাদান থাকে যা শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সজনে পাতার শাকের বদলে রসও খেতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
সজনে পাতার মধ্যে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি থাকে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত এই পাতার শাক রান্না করে খেলে মরসুমি অসুখ সেরে যায়। সর্দি, কাশি, গলাব্যথা নিরাময়ে সাহায্য করে।
হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়
সজনে পাতায় থাকে প্রচুর ফাইবার। যা হজমে সাহায্য করে। খিদে বাড়ায় এই পাতা। কোষ্ঠকাঠিন্য সারিয়ে তোলার জন্য সজনে পাতা উপকারী। ওজন নিয়ন্ত্রণও করতে পারে এই পাতা।
চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী
সজনে পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ত্বকের জন্য খুব ভালো। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না এই পাতা। এটি চুলের জন্যও উপকারী। কারণ এতে প্রোটিন থাকে। যা চুলের গোড়াকে মজবুত ও শক্তিশালী করে।
কী কীভাবে খাওয়া যায়? সজনে পাতার শাক খাওয়া যায়, এর ডাঁটার নানা তরকারি হয়, সজনে পাতার স্যুপ সকালের ভালো পানীয়, স্যালাডে সজনে পাতা যোগ করে খাওয়া যেতে পারে, সজনে ফুলের পকোড়া তৈরি করে খাওয়া যায়।