
ওজন কমানোর পথে সবচেয়ে বড় বাধাগুলোর একটি হল ঘন ঘন খিদে পাওয়া। শুকনো ফল সেই সমস্যাকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। ক্যালোরি তুলনামূলক বেশি হলেও, এতে থাকা প্রোটিন, ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর চর্বি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে। যা ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
জেন মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান প্রিয়া পালান জানান, শুকনো ফল পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এগুলি শুধু ওজন কমাতেই নয়, সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।
১. বাদাম
বাদামে রয়েছে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ই, কপার, ক্যালসিয়াম ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। এর ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর চর্বি পেট ভরিয়ে রাখে অনেকক্ষণ। জার্নাল অফ রিসার্চ ইন মেডিকেল সায়েন্সেস-এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যতালিকায় বাদাম যুক্ত করলে ওজন কমানোর হার বাড়ে। ডাঃ প্রিয়ার পরামর্শ-প্রতিদিন ৪-৫টি বাদাম খান।
২. আখরোট
আখরোটে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে এবং ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ক্যালোরি বেশি হলেও পরিমিত পরিমাণে খেলে এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। নিউট্রিশন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা জানায়, আখরোট খেলে পেট ভরা অনুভূতি দীর্ঘস্থায়ী হয়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে।
৩. চিনাবাদাম
‘গরিবের বাদাম’ বলা হলেও চিনাবাদাম পুষ্টিগুণে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এতে থাকা প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি ও ফাইবার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে ও ক্ষুধা কমায়। নিউট্রিশন জার্নালের গবেষণা বলছে, খাবারের আগে ৩৫ গ্রাম চিনাবাদাম খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৪. খেজুর
খেজুর প্রাকৃতিক শর্করা, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি শরীরকে দীর্ঘক্ষণ শক্তি জোগায়। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, খেজুরে প্রদাহনাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা বিপাকীয় স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। তাছাড়া এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, ফলে অন্যান্য চিনিযুক্ত খাবারের তুলনায় এটি অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর বিকল্প।