Fatty Liver, Liver Swelling Remedies: লিভারে চর্বি থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু এই চর্বি বাড়তে থাকলে লিভারে ফোলাভাব বাড়তে থাকে। বর্তমানে দুর্বল জীবনযাপনের কারণে মানুষের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ছে। এই অবস্থায়, লিভারে ফুলে যাওয়া এবং আঘাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, লিভার ফুলে যাওয়ার কারণে একজন স্থূলতা, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
এমন পরিস্থিতিতে আপনিও যদি লিভার ফুলে যাওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে অবশ্যই ফ্যাটি লিভার পরীক্ষা করে নিন। এই প্রতিবেদনে এমন কিছু ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন, যেগুলি আপনার লিভারের ফোলাভাব বা ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার (Apple Cider Vinegar)
লিভারের প্রদাহ কমাতেও অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার খুবই উপকারী। আপেল সিডার ভিনেগার আপনার লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে পারে। লিভার ডিটক্স হলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়।১ গ্লাস গরম জলতে ১ চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন। এই জল নিয়মিত পান করলে লিভারের ফোলাভাব কমে যায়।
লেবু উপকারী (Lemon)
লেবু, যাকে ভিটামিন সি-এর পাওয়ার হাউস বলা হয়, লিভারের প্রদাহ কমাতেও উপকারী। লেবু লিভারের কোষের ক্ষতি করে এমন ফ্রি র্যা্ডিক্যাল প্রতিরোধ করে। আপনার খাদ্যতালিকায় লেবু জল অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না।
হলুদ (Yellow)
হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান। হলুদে পর্যাপ্ত পরিমাণে বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ কারকিউমিন রয়েছে, যা ফোলা সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এক চিমটি হলুদ জলতে ফুটিয়ে পান করলে লিভারের ফোলাভাব কমে যায়।
গ্রিন টি (Green Tea)
ফ্যাটি লিভার হোক বা ফোলা, এই দুই সমস্যাতেই গ্রিন টি উপকারী। আপনি ক্যাটেচিন সমৃদ্ধ গ্রিন টি খেতে পারেন। এটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ, যা লিভারের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। দিনে দুবার গ্রিন টি পান করা লিভারের জন্য উপকারী।