ওজন কমাতে চান? তবে গ্রিন টি হতে পারে আপনার চাবিকাঠি। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, বিশেষ করে EGCG (Epigallocatechin-3-Gallate), যা শরীরের মেটাবলিজ়ম বাড়িয়ে ক্যালোরি বার্ন করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, গ্রিন টি হজমের সমস্যা দূর করে, ত্বকের যত্নে সহায়তা করে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
গ্রিন টি-র উপকারিতা কী?
গ্রিন টি-তে থাকা EGCG শরীরের ক্যালোরি বার্ন করার ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ক্যাফেইন চর্বি গলাতে সাহায্য করে, ফলে শরীরের এনার্জি ব্যবহারের মাত্রাও বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত গ্রিন টি খেলে ক্ষুধা কমে, ফলে ক্যালোরির গ্রহণও স্বাভাবিকভাবেই কম হয়। এটি গ্যাস্ট্রিক জুস নিঃসরণে সহায়তা করে, যার ফলে হজম শক্তি বাড়ে এবং শরীর পুষ্টিগুণ ভালোভাবে শোষণ করতে পারে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
গ্রিন টি কখন খাবেন, কতটা খাবেন?
গ্রিন টি আপনি দিনে যে কোনও সময় খেতে পারেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকালে খালি পেটে নয়, বরং হালকা কিছু খাওয়ার পরে অথবা ব্যায়ামের পর গ্রিন টি খাওয়া সবথেকে উপকারী।
সকালে ও বিকেলে একটি করে কাপ খাওয়া যায়। দিনে ২ থেকে ৩ কাপ পর্যন্ত গ্রিন টি খাওয়া নিরাপদ।
তবে ঘুমানোর আগে গ্রিন টি না খাওয়াই ভালো, কারণ এতে থাকা ক্যাফেইন ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
আরও কিছু টিপস—
চিনি না মিশিয়ে গ্রিন টি খাওয়াই উত্তম।
খুব গরম জল দিয়ে না, হালকা গরম জলে গ্রিন টি ব্রু করুন।
প্রতিদিন এক নিয়মে খাওয়া অভ্যাস করুন।
সব মিলিয়ে, স্বাস্থ্যকর ডায়েট আর নিয়মিত ব্যায়ামের সঙ্গে গ্রিন টি জুড়লে ওজন কমানো অনেকটাই সহজ হতে পারে। তবে যাঁরা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।