একই অফিসে একাধিক কর্মীর চিকেন পক্স। সঙ্গে সঙ্গে গোটা ফ্লোরের জন্য জারি হল কড়া স্বাস্থ্যবিধি। সম্প্রতি শহরের এক বেসরকারি সংস্থার দফতরে এমনই ঘটনা ঘটেছে।
বছরের এই সময়ে সাধারণত চিকেন পক্সের মতো রোগের সংক্রমণ বাড়ে। কিন্তু অনেকেই ঠিক জানেন না যে, চিকেন পক্স কীভাবে হয়। অর্থাৎ, এটি বায়ুবাহিত? নাকি জলবাহিত? নাকি অন্য কোনওভাবে এই রোগ হয়?
আজতক বাংলার এই প্রতিবেদনে সেই সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন। জানতে পারবেন, ঠিক কীভাবে চিকেন পক্সের থেকে সাবধান থাকা সম্ভব।
ভেরিসেলা-জোস্টার ভাইরাস
এই ভাইরাস থেকেই চিকেনপক্স হয়। এটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগ। মূলত শিশুদেরই এই রোগ হয়। তবে প্রাপ্তবয়স্কদেরও হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে হালকা উপসর্গ হলেও অনেক ক্ষেত্রে এই রোগ ভয়ানক ভোগাতে পারে।
চিকেনপক্সের ঝুঁকি কমানোর প্রথম শর্তই হল সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
টিকাকরণ:
চিকেনপক্স রোধের সবচেয়ে ভাল উপায় হল টিকাকরণ। ভ্যারিসেলা ভ্যাকসিন চিকেন পক্সের প্রকোপ এবং তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে। শিশুরা সাধারণত টিকার দু'টি ডোজ পায়। প্রথমটি ১২-১৫ মাসের মাথায়। দ্বিতীয়টি ৪-৬ বছরের মাথায়। প্রাপ্তবয়স্কদের যাঁদের চিকেনপক্স হয়নি, তাঁরাও এই টিকা নিতে পারেন। বিশেষত যাঁরা ভিড় ট্রেন-বাসে যাতায়াত করেন, বা তাঁদের পরিবার, অফিসে কারও চিকেন পক্স হয়েছে, তাঁরা সাবধানতা হিসাবে এটি নিতে পারেন।
সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন:
সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাইরে থেকে এসে, খাওয়ার আগে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে জন্য সাবান এবং জল দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। স্যানিটাইজার রাখতে হবেষ অনেকটা কোভিড বিধির মতোই।
সংক্রামিত ব্যক্তির থেকে দূরে:
চিকেনপক্স অত্যন্ত সংক্রামক। হাঁচি, কাশির সময়ে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকলেও ছড়াতে পারে। সংক্রমণ রোধ করার জন্য তাই দূরে দূরে থাকতে হবে। পরিবারে কারও চিকেনপক্স হলে, সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা গর্ভবতী মহিলাদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল হলে তা সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে দেয়। পাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য রাখুন। নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
চিকেন পক্সের উপসর্গ: