কালো কিশমিশ হাড়ের ওষুধ! এভাবে খেলে বুড়ো বয়স পর্যন্ত হাড় ইস্পাতশক্ত থাকবে

তাই, পরের বার যখন আপনি মিষ্টি কিছু খেতে চান, তখন এক মুঠো কালো কিশমিশ খান। আমরা আপনাকে বলব কীভাবে কালো কিশমিশ খাওয়া আপনার হাড়কে শক্তিশালী করতে পারে। আমাদের হাড় কেবল আমাদের শরীরকে সমর্থন করার জন্য নয়। এটি আমাদের অঙ্গগুলিকেও রক্ষা করে, ক্যালসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ সঞ্চয় করে এবং আমাদের নড়াচড়া করার শক্তি দেয়। তবে, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ করে ৩০ বছর বয়সের পরে হাড়ের শক্তি হ্রাস পেতে শুরু করে। মেনোপজের পরে মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা আরও খারাপ হয়, কারণ শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা হ্রাস পেতে শুরু করে। অতএব, আমাদের খাদ্যতালিকায় এমন খাবার অন্তর্ভুক্ত করা অপরিহার্য হয়ে ওঠে, যা হাড়কে ভেতর থেকে শক্তিশালী করে এবং কালো কিশমিশ এই ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।

কালো কিশমিশ কেন হাড়ের জন্য উপকারী?

কালো কিশমিশ হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। এতে পাওয়া খনিজ বোরন হাড়ের বৃদ্ধি এবং রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে মহিলাদের জন্য। এক মুঠো (প্রায় ৩০ গ্রাম) কালো কিশমিশে ক্যালসিয়াম, বোরন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, তামা এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই পুষ্টি উপাদানগুলি কালো কিশমিশকে হাড় এবং জয়েন্টের জন্য একটি প্রাকৃতিক পরিপূরক করে তোলে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী করে এবং দুর্বল হতে বাধা দেয়। বোরন শরীরকে ক্যালসিয়াম আরও ভালভাবে শোষণ করতে সাহায্য করে, হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখে। পটাসিয়াম শরীরে অ্যাসিডিটি কমায়, কারণ অতিরিক্ত অ্যাসিডিটি হাড় থেকে ক্যালসিয়াম বের করে দিতে পারে। ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের গঠন শক্তিশালী করতে ক্যালসিয়ামের সঙ্গে কাজ করে। অতিরিক্তভাবে, আয়রন এবং তামা কোলাজেন তৈরিতে সহায়তা করে, প্রোটিন যা জয়েন্টগুলিকে নমনীয় এবং সুস্থ রাখে। কালো কিশমিশে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি হাড়কে প্রদাহ এবং ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, দীর্ঘ সময়ের জন্য শক্তিশালী এবং সক্রিয় রাখে।

ক্যালসিয়ামের ভাল উৎস: কালো কিশমিশে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ, যা হাড়ের শক্তি বজায় রাখে এবং বয়স-সম্পর্কিত দুর্বলতা প্রতিরোধ করে।

বোরন সমৃদ্ধ: এই খনিজটি শরীরকে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সঠিকভাবে শোষণ করতে সাহায্য করে, হাড় ভাঙা রোধ করে।

কোলাজেন বাড়াতে সাহায্য করে: কালো কিশমিশে থাকা তামা এবং আয়রন কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে, যা হাড়কে নমনীয় রাখে এবং জয়েন্টের ব্যথা কমায়।

প্রদাহ প্রতিরোধ করে: রেসভেরাট্রল এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হাড়কে প্রদাহ এবং চাপ থেকে রক্ষা করে।

খনিজ ভারসাম্য বজায় রাখে: পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরের pH স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ক্যালসিয়ামের ক্ষয় রোধ করে, শক্তিশালী হাড় বজায় রাখে।

কালো কিশমিশ কীভাবে খাবেন?

ব্রেক ফাস্টে প্রতিদিন ৮-১০টি কালো কিশমিশ খান। রাতভর জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খাওয়া আরও বেশি উপকারী। আপনি ওটস, দই, স্মুদি বা সালাদেও এগুলি যোগ করতে পারেন। স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের জন্য মিষ্টিতে চিনির পরিবর্তে এগুলি ব্যবহার করুন।