কাঁচা পেঁয়াজ খেতে দিলে অনেকে নাক সিঁটকোন। কারও কারও আবার ভাত বা রুটির সঙ্গে পেঁয়াজ লাগবেই। তবে চিকিৎসকদের মতে, একজন সুস্থ সবল মানুষের রোজ একটা করে পেঁয়াজ খাওয়া দরকার। তাতে শরীরের অনেক উপকাপ হয়।
আসলে কাঁচা পেঁয়াজে থাকে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, ই ও ফাইবার। যেগুলো শরীরের জন্য অপরিহার্য। যদি কারও পেটের সমস্যা থাকে, যেমন গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য বা বদহজম, তাহলে কাঁচা পেঁয়াজ খুব উপকারী। পেঁয়াজে অনেক ফাইবার থাকে যা শরীরে জমে থাকা ময়লা দূর করে। এতে হজমশক্তি ভালো থাকে।
কেন খাবেন কাঁচা পেঁয়াজ?
কাঁচা পেঁয়াজে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এই পেঁয়াজ। ঠান্ডার সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য, শরীরের উষ্ণতা ঠিক রাখতে কাঁচা পেঁয়াজ উপকারী।
পেঁয়াজে সালফার এবং কিছু প্রয়োজনীয় খনিজ থাকে। যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড় দুর্বল হতে শুরু করে, এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া উপকারী।
কাঁচা পেঁয়াজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওষুধের চেয়ে কম নয়। এতে ক্রোমিয়াম নামক একটি উপাদান রয়েছে যা রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে, যদি আপনি ডায়াবেটিসের ওষুধ খাচ্ছেন, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
গরমকালে সূর্যের তাপ প্রখর থাকে। গরম বাতাসও প্রবাহিত হয়। একে লু বলে। তখন পেঁয়াজ আপনার ত্রাণকর্তা হয়ে উঠতে পারে। স্যালাডে লেবু এবং নুন দিয়ে পেঁয়াজ খান। গরমকালে উপকার পাবেন।
কাঁচা পেঁয়াজে এমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা হৃদপিণ্ডের ধমনী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
পেঁয়াজে উপস্থিত সালফার ত্বক এবং চুলের জন্যও ভালো। পেঁয়াজ খেলে চুল পড়া কমে যায় এবং ত্বকও ভালো থাকে। অনেকে চুলে পেঁয়াজের রস লাগায়। সেটাও খুব উপকারী।
চিকিৎসকদের মতে, স্যালাডে লেবু এবং সামান্য লবন যোগ করে যদি পেঁয়াজ খেতে পারেন। আপনি চাইলে দইয়ের সঙ্গে রাইতা মিশিয়েও খেতে পারেন। তবে পেঁয়াজ খাওয়ার অনেক আগে কাটবেন না। তাহলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে।
তবে যদি আপনার অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা বেশি থাকে, তাহলে শুরুতে অল্প অল্প পেঁয়াজ খান। কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার পর মুখ থেকে দুর্গন্ধের সমস্যা থাকে, তাই এর পরে তুলসী বা মৌরি চিবিয়ে খাওয়া ভালো।