Advertisement

Heatstroke Symptoms- Preventions: তাপপ্রবাহের ফলে হিটস্ট্রোক হলে তাৎক্ষণিক কী করবেন? জানুন এড়ানোর টিপস

How To Prevent From Heatstroke: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিট স্ট্রোক হলে, শরীর তার ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না এবং ঘামও শরীরকে ঠান্ডা করতে ব্যর্থ হয়। সেক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। জানুন হিটস্ট্রোক কী, এর লক্ষণ এবং প্রতিকার কী।

Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 26 May 2025,
  • अपडेटेड 12:51 PM IST

দেশের বিভিন্ন রাজ্যে গরমের জেরে এখনও সবার খারাপ অবস্থা। গরমে মানুষের জীবন যেন আরও কঠিন হয়েছে। গরমের তীব্রতায় এসি-কুলার কিছুই যেন কাজ করছে না। দেশের অনেক এলাকায় তাপমাত্রার পারদ ৫০ ডিগ্রিতে ছুঁয়েছে। দিল্লি সহ বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতালে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিট স্ট্রোক হলে, শরীর তার ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না এবং ঘামও শরীরকে ঠান্ডা করতে ব্যর্থ হয়। সেক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। জানুন হিটস্ট্রোক কী, এর লক্ষণ এবং প্রতিকার কী।

হিটস্ট্রোক কী

আরও পড়ুন

সাধারণত শরীর যখন তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম হয়, তখন হিট স্ট্রোক হয়। সেসময় শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং সহজে হ্রাস পায় না। হিটস্ট্রোক হলে শরীরে ঘাম হয় না, যা অত্যন্ত ক্ষতিকারক। হিট স্ট্রোক হলে, শরীরের তাপমাত্রা  ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি বাড়তে পারে। যদি সময়মতো চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

হিটস্ট্রোকের লক্ষণ

হিটস্ট্রোকের লক্ষণগুলো শনাক্ত করা গেলে এবং সময়মতো চিকিৎসা করা সম্ভব। এজন্যে সমস্ত লক্ষণ চিহ্নিত করা জরুরি। মাথাব্যথা, প্রচণ্ড জ্বর, জ্ঞান হারিয়ে যাওয়া, মানসিক অবস্থার অবনতি, গা বমিভাব, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, ত্বক নরম হয়ে যাওয়া, ত্বকের শুষ্কতা এবং ডিমেনশিয়া, এর সাধারণ লক্ষণ।

হিটস্ট্রোকের কারণ

খুব গরম জায়গায় বেশিক্ষণ থাকলে, হিট স্ট্রোক হতে পারে। কেউ যদি ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে হঠাৎ গরম জায়গায় যান, তাহলে হিটস্ট্রোকের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। গরম আবহাওয়ায় অতিরিক্ত ব্যায়াম করাও হিট স্ট্রোকের একটি বড় কারণ। গরমে প্রচুর ঘামের পর পর্যাপ্ত জল পান না করলে, এই সমস্যা হতে পারে।

কেউ যদি খুব বেশি অ্যালকোহল পান করে, সেক্ষেত্রেও শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা হারিয়ে যায়। এটিও হিটস্ট্রোকের কারণ হতে পারে। আপনি যদি গ্রীষ্মে এমন পোশাক পরেন যা ঘাম শরীরের বাইরে এবং হাওয়া শরীরের ভিতরে না যায়, এটিও হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

Advertisement

কাদের হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে?

হিটস্ট্রোক সকল বয়সের মানুষ আক্রান্ত হতে পারে, তবে কিছু মানুষের ঝুঁকি বেশি।

শিশু ও বয়স্করা: শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের শরীর দুর্বল থাকে এবং তারা গরমের কারণে সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। প্রবল গরমে তাদের শরীরে জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে বা হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন।

অসুস্থ ব্যক্তি: যাদের কোনও রোগ আছে, তাদের হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরাও হিটস্ট্রোকে বেশি ভুগতে পারেন। কারণ তাদের শরীর তাপ সহ্য করতে অক্ষম।

যারা বাইরে কাজ করেন: কৃষক, শ্রমিক এবং যারা রোদে কাজ করেন তারা দীর্ঘ সময় ধরে গরম বাতাসের সংস্পর্শে থাকার কারণে অসুস্থ হতে পারেন। যারা বাইরে প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম করেন এবং  পর্যাপ্ত জল পান করেন না তারাও হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন।

যারা কম জল পান করেন: গ্রীষ্মে পর্যাপ্ত জল পান না করলে, স্বাস্থ্য দ্রুত খারাপ হতে পারে।

হিটস্ট্রোক এড়াতে কী করবেন?

হিটস্ট্রোক এড়াতে, আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা উচিত।

প্রচুর জল পান করুন

সারা দিন যতটা সম্ভব জল পান করুন। তাপপ্রবাহের ফলে শরীরে দ্রুত জল কমে যায়, তাই জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এটি এড়াতে ঘন ঘন জল পান করা গুরুত্বপূর্ণ।

রোদে কম বেরোন

তাপপ্রবাহ সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকে। এই সময়ে, ঘরের ভেতরে বা ছায়ায় থাকার চেষ্টা করুন কারণ সেখানে একটু ঠান্ডা থাকে।

হালকা এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরুন

হালকা রঙের সুতি এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরুন যাতে আপনার গরম কম লাগে এবং ঘাম সহজেই শুকিয়ে যায়। কালো এবং আঁটসাঁট পোশাক পরলে আরও গরম বোধ হতে পারে।

চুল এবং ত্বক রক্ষা করুন

সরাসরি সূর্যের আলো এড়াতে বাইরে বেরনোর ​​সময় টুপি বা ছাতা পরুন। রোদে পোড়া এবং তাপ এড়াতে উন্মুক্ত অংশে সানস্ক্রিন লাগান।

হালকা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান 

গ্রীষ্মে ভাজা, মশলাদার বা ভারী খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। ফল, শাকসবজি এবং হালকা খাবার বেশি খান যাতে শরীর ঠান্ডা থাকে।

শারীরিক পরিশ্রম কম করুন

তাপপ্রবাহের সময় বাইরে কঠোর পরিশ্রম বা ব্যায়াম করবেন না। বাইরে কাজ করার প্রয়োজন হলে, মাঝে বিশ্রাম নিন এবং প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।

ঘর ঠান্ডা রাখুন 

পাখা, কুলার বা এসি ব্যবহার করুন। দিনের বেলা জানালা এবং পর্দা বন্ধ রাখুন যাতে গরম বাতাস প্রবেশ করতে না পারে এবং রাতে ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করতে না পারে।

হিটস্ট্রোকের লক্ষণগুলি চিনুন

যদি আপনার মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, বমিভাব লাগে এবং বা ঘাম না হয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন কারণ এটি হিট স্ট্রোক হতে পারে।

শরীর ঠান্ডা করার জন্য ভেজা কাপড় লাগান 

কপাল, ঘাড় এবং কব্জিতে একটি ভেজা কাপড় বা স্পঞ্জ লাগান। এটি শরীরকে দ্রুত ঠান্ডা করতে সাহায্য করে।

হিটস্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা

যদি কারও হিট স্ট্রোক হয়, তাহলে প্রাথমিক কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে, চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে রোদে রাখবেন না, শরীরে হাওয়া ঢোকার ব্যবস্থা করুন। শরীর ঠান্ডা করার জন্য তাকে কুলার বা ফ্যানের সামনে বসান, ঠান্ডা জলে স্নান করুন, ঠান্ডা জলে একটি কাপড় ভিজিয়ে শরীর মুছে নিন। মাথায় ঠান্ডা জল দিয়ে বরফের প্যাক বা কাপড় ভিজিয়ে রাখুন এবং মাথায়, ঘাড়ে, বগলে ও কোমরে ঠান্ডা জলে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে রাখুন।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement