Advertisement

High Cholesterol Eggs: কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ডিম খান না? গবেষণায় উঠে এসেছে এক চমকপ্রদ তথ্য

Cholesterol And Eggs: কোলেস্টেরল এক ধরনের চর্বিজাতীয়, তৈলাক্ত স্টেরয়েড যা কোষের ঝিল্লি বা (সেল মেমব্রেনে)-এ পাওয়া যায় এবং যা সব প্রাণীর রক্তে পরিবাহিত হয়। একটি সুস্থ শরীরের জন্য প্রচুর কোলেস্টেরল প্রয়োজন। কোলেস্টেরল কোষ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কোলেস্টেরলের তথ্য কোলেস্টেরলের তথ্য
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 26 Aug 2025,
  • अपडेटेड 7:57 PM IST

বছরের পর বছর ধরে, ডিমকে উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণ হিসেবে মনে করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, যদি আপনি প্রতিদিন কম চর্বিযুক্ত খাবারের সঙ্গে দুটো ডিম খান, তাহলে এটা খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে পারে। এই গবেষণায় বলা হয়েছে যে, আসল সমস্যা ডিম নয়, বরং অস্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়া। এই গবেষণা ডিম সম্পর্কে প্রাচীনকালের ধারণা পরিবর্তন করতে পারে। এটি স্পষ্টভাবে বলে যে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির আসল কারণ ডিমে পাওয়া কোলেস্টেরল নয়, বরং স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার।

কোলেস্টেরল বৃদ্ধির আসল কারণ কী?

কোলেস্টেরল বৃদ্ধির মূল কারণ কোনটি - ডিম না স্যাচুরেটেড ফ্যাট (অস্বাস্থ্যকর চর্বি)? এর উত্তর খুঁজতে, একটি গবেষণা পরিচালিত হয়েছিল, যেখানে ৬১ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এদের পাঁচ সপ্তাহ ধরে তিন ধরণের ডায়েট দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ডায়েটে উচ্চ কোলেস্টেরল ও কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট ছিল, যার মধ্যে প্রতিদিন দুটি ডিম অন্তর্ভুক্ত ছিল। দ্বিতীয় ডায়েটে কম কোলেস্টেরল, কিন্তু উচ্চ স্যাচুরেটেড ফ্যাট ছিল এবং তৃতীয় ডায়েটে উচ্চ কোলেস্টেরল এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট উভয়ই ছিল, তবে ডিম খুব কম দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন

গবেষকরা এই তিন ধরণের ডায়েটের সময় মানুষের খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) পরীক্ষা করেছিলেন, যাতে বোঝা যায়, বেশি কোলেস্টেরল এবং বেশি চর্বি খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে?

গবেষণায় কী জানা গেল?

ফল বেশ অবাক করার মতো ছিল। যখন এরা ডিম সমৃদ্ধ এবং বেশি কোলেস্টেরল কিন্তু কম স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার খেয়েছিল, তখন তাদের খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমে গিয়েছিল। অন্যদিকে, যখন এরা বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার খেয়েছিল, তখন তাদের LDL বৃদ্ধি পেয়েছিল, তারা যতই কোলেস্টেরল খেয়ে থাকুক না কেন। এটি স্পষ্ট করে যে, যদি স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম খাওয়া হয়, তাহলে ডিমে উপস্থিত কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় না।

এই গবেষণা অনেক মানুষের ধারণা পরিবর্তন করতে পারে। ডিম প্রোটিনের একটি ভাল উৎস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবারের তুলনায় এটি সস্তা। সেক্ষেত্রে, যারা হৃদরোগের কারণে ডিম খেতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন, তারা সহজেই এটি খেতে পারেন।
 

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement