বর্ষা মানেই ইলিশ মাছ। মাছে-ভাতে বাঙালির পাতে এক টুকরো ইলিশ পড়লে মন-পেট, দুই-ই খুশিতে ডগমগ হয়। সুস্বাদু ইলিশ চেখে দেখতে সকলেই চান। বর্ষার মরশুমে ইলিশের চাহিদা তুঙ্গে থাকে। কিন্তু ইলিশ মাছ খেলে সুগারের রোগীদের বিপদ বাড়তে পারে। কারণ, ইলিশ মাছ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।
কিন্তু তা বলে কি ইলিশ খাব না! পুষ্টিবিদদের মতে, ইলিশ মাছ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ইলিশে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন। তাই নিয়মিত ইলিশ খেলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মেটে। শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে, ইলিশে রয়েছে ওমেগা থ্রি। যা হার্ট ও ব্রেনের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। রুপোলি শস্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন ডি। ফলে ইলিশ খেলে শরীর তাজা হবেই।
কিন্তু যাঁরা সুগারের রোগী, তাঁদের ইলিশ মাছ খেলে খুব সাবধানে খেতে হবে। না হলে রক্তে শর্করার মাত্রা হু হু করে বাড়তে পারে।
ইলিশ খেলেও সুগার বাড়বে না, কীভাবে?
* বিশেষজ্ঞদের মতে, সুগারের রোগীরা ইলিশ মাছ খেতে পারেন, তবে পরিমাণ বুঝে খেতে হবে। তাহলে সুগার বাড়বে না।
* ইলিশ মাছ মানেই বাঙালির হেঁশেলে তেল-ঝাল-মশলা দিয়ে রান্না করা হয়। তবে সুগারের রোগীরা ইলিশ মাছ খেলে, পাতলা ঝোল বানিয়ে খান।
* যাঁরা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাঁরা ভাজা ইলিশ খাবেন না।
ইলিশ মাছ খাওয়ার পর যদি শরীরে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়, তা হলে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।