হোলির উৎসব এলেই বাড়ির শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার মুখেই খুশির ঝলক দেখা যায়। বাড়িতে অন্যরকম পরিবেশ। রং নিয়ে খেলা থেকে শুরু করে নানা ধরনের খাবার তৈরি, সব কিছুতেই রয়েছে আনন্দ। যে কোনও উৎসব মানেই খাওয়াদাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে বর্তমান সময় নানা রোগভোগ বেড়েই চলেছে। এজন্যে উৎসবের আনন্দে গা ভাসিয়ে, স্বাস্থ্যের কথা ভুললে চলবে না। হোলির উদযাপনে মেনুতে এমন কিছু কাহাবার রাখুন, যা খেতেও ভাল এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
ঠান্ডাই- ঠান্ডাই বিশেষ করে হোলি উৎসবে তৈরি করা হয়। এটি আপনার রুচি বাড়ায়। দুধে বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুট মিশিয়ে এটি তৈরি করা হয়। এই পানীয় শরীরকে শীতল করে, শক্তি জোগায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
তরমুজের রস- তরমুজের রস পান করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। গ্রীষ্মকালে এটি খেলে হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ হয়। তরমুজের রস শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। ফলে জলের অভাব হয় না। হোলি পার্টিতে তরমুজের রস রাখতে পারেন। এটি খেতেও ভাল এবং পাশাপাশি আপনার স্বাস্থ্যও ভাল রাখবে।
বেকড গুজিয়া- হোলিতে গুজিয়া একটি প্রচলিত খাবার। ছাঁকা তেলে ভেজে তৈরি করা হয়। তাই বেশিরভাগ মানুষ এগুলো খাওয়া এড়িয়ে চলেন। বেকড গুজিয়া সবচেয়ে ভাল বিকল্প হতে পারে আপনার। নিজের পছন্দ অনুযায়ী পুর ভরে , মাইক্রোওয়েভে সহজে বেক করে খেতে পারেন গুজিয়া।
ড্রাই ফ্রুট মিষ্টি- মিষ্টি ছাড়া কি উৎসব হয়? অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ড্রাই ফ্রুট থেকে তৈরি মিষ্টি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এতে ড্রাই ফ্রুটের শক্তি এবং গুড়ের মিষ্টি উভয়ই থাকে, যা এই মিষ্টিকে শুধু সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যকরও করে তোলে।
মরসুমি ফল- হোলির মেনুতে মরসুমী ফল রাখতে পারেন। কমলালেবু, সবেদা, তরমুজ, আঙুর, পেঁপে ইত্যাদি ফল হজম প্রক্রিয়াকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে সাইট্রাস ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং শরীর সুস্থ থাকে। ফ্রুট চাট, স্যালাডের মতো যে কোনও রূপে এই ফলগুলো খেতে পারেন।
জল- হোলির আনন্দে মেতে অনেকে জল পান করতে ভুলে যায়। এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই প্রচুর জল পান করুন। ডিহাইড্রেশন এড়িয়ে চলুন। আপনি চাইলে জলে লেবু যোগ করতে পারেন। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে এবং শরীরের জলের ঘাটতি দূর হবে।
গুড়ের পায়েস- রঙের উৎসবে অনেকে পায়েস বানান। তবে স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। গাজরের হালুয়া, ড্রাই ফ্রুটের পায়েস, মাখানার পায়েস ইত্যাদির মতো আরও অনেক ধরণের পায়েস খেতে পারেন হোলিতে। গুড় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক বলে মনে করা হয়। তাই ক্ষীর বা পায়েসে চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করুন।
বেশি ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন- হোলির উৎসবে অতিরিক্ত ভাজা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত ভাজাভুজি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে পেটে গ্যাস এবং অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। এই উৎসবে বেশি মিষ্টি খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। বেশি মিষ্টি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে।
বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন- হোলিতে, যতটা সম্ভব বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন এবং শুধুমাত্র বাড়িতে তৈরি খাবার খান। দোলযাত্রা সময় গরম থাকে, তাই কম খাবার খান এবং সর্বাধিক তরল খাবার গ্রহণ করুন। রঙের হাতে খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। হাত ভাল করে পরিষ্কার করার পরই খাবেন।