Advertisement

Saline Safety Tips: স্যালাইন কীভাবে তৈরি হয়? মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন চিনবেন কীভাবে?

এই প্রতিবেদনে স্যালাইন কীভাবে তৈরি হয়, কেন ব্যবহার করা হয় এবং মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইনের প্রভাব কী তা জানতে পারবেন।

স্যালাইন সম্পর্কে যা সবার জেনে রাখা উচিত।স্যালাইন সম্পর্কে যা সবার জেনে রাখা উচিত।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 19 Jan 2025,
  • अपडेटेड 2:47 PM IST
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে স্যালাইন নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছেন।
  • স্যালাইন জিনিসটা ঠিক কী, সেটা অনেকের কাছেই স্পষ্ট নয়।
  • এই প্রতিবেদনে স্যালাইন কীভাবে তৈরি হয় জানতে পারবেন।

সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যু পর স্যালাইন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই দাবি করছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইনের প্রভাবেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে এমনই আবহে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে স্যালাইন নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছেন। স্যালাইন জিনিসটা ঠিক কী, সেটা অনেকের কাছেই স্পষ্ট নয়। এই প্রতিবেদনে স্যালাইন কীভাবে তৈরি হয়, কেন ব্যবহার করা হয় এবং মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইনের প্রভাব কী তা জানতে পারবেন।

স্যালাইন কীভাবে তৈরি করা হয়?
স্যালাইন একটি সাধারণ তরল, যা লবণ (সোডিয়াম ক্লোরাইড) এবং জলের মিশ্রণে তৈরি। সাধারণত প্রতি লিটারে ৯ গ্রাম লবণ গরম করে জীবাণুমুক্ত জল দিয়ে মিশিয়ে স্যালাইন তৈরি করা হয়। তাই একে ০.৯% সলিউশন হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। এই মিশ্রণটি মূলত মেডিক্যাল ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হয় এবং তৈরির সময় স্টেরিলিটি বজায় রাখতে হয়। প্রস্তুত স্যালাইন বিশেষ ধাতুর প্যাকেট বা প্লাস্টিকে সংরক্ষণ করা হয়, যা বাইরে থেকে জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকায়।

স্যালাইনের ব্যবহার কী?
স্যালাইনের সবচেয়ে বড় ব্যবহার হল দূর্বল শরীরে জল ও লবণের ভারসাম্য বজায় রাখা। ডিহাইড্রেশনের সময় এটি শিরায় দেওয়া হয়। এছাড়াও,

  • ওষুধ শিরায় প্রয়োগের সময় স্যালাইন ব্যবহার হয়।
  • চোখ বা ক্ষতস্থানে ধোয়ার জন্য স্যালাইন ব্যবহার করা হয়।
  • অস্ত্রোপচারের সময় রক্ত সঞ্চালনের বিকল্প হিসেবে স্যালাইন গুরুত্বপূর্ণ।

মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন থেকে কী হতে পারে?
মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন ব্যবহার করা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে স্যালাইন জীবাণু দ্বারা দূষিত হতে পারে, যা ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ায়। শরীরে প্রয়োগের ফলে,

  1. সেপসিস: রক্তে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
  2. অঙ্গ বিকল: সংক্রমণ গুরুতর হলে কিডনি বা লিভারের ক্ষতি হতে পারে।
  3. জ্বর বা ব্যথা: শরীর প্রতিক্রিয়া হিসাবে তীব্র ব্যথা বা জ্বর হতে পারে।
  4. মৃত্যুর ঝুঁকি: দ্রুত চিকিৎসা না হলে মারাত্মক পরিণতি হতে পারে।

কীভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন শনাক্ত করবেন?

  • প্যাকেটের গায়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ চেক করুন।
  • স্যালাইনের রং পরিবর্তন বা অস্বাভাবিক কণার উপস্থিতি থাকলে ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

স্যালাইন চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিস। কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন কখনই ব্যবহার করা উচিত নয়। চিকিৎসা বা স্যালাইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে সবসময় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

Read more!
Advertisement
Advertisement