
নতুন বছর শেষের মুখে। হাতে আর মাত্র একদিন। আজ ৩০ ডিসেম্বর। আগামিকাল ৩১। তারপরই নতুন বছর ২০২৬-এ প্রবেশ করব আমরা। আর পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নিউ ইয়ারে আপন করার দিনে অনেকেই করেন মদ্যপান। তাতেই তাঁদের মন খুশ।
তবে এই সময় মুখ বেজার করে বসে থাকেন ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরল রোগীরা। তাঁরা বুঝতে পারেন না, সত্যিই কি এই দুই অসুখ নিয়ে মদ খাওয়া যায়? আর এই প্রশ্নের ইতিবাচক উত্তর দিয়েছেন শহরের বিশিষ্ট ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশিস মিত্র। তিনি বলেন, 'ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরল থাকলে মদ খেতে পারেন। তবে সেটা খেতে হবে একটু সাবধানে। নইলে বিপদ হতে পারে।'
ঠিক কতটা মদ খাওয়া যেতে পারে?
এই প্রসঙ্গে ডাঃ মিত্র বলেন, 'মদ একটি টক্সিক পানীয়। এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই এটা এড়িয়ে চলাই ভাল। তবে বছর শেষের দিনে কেউ অল্প পরিমাণে মদ খেতেই পারেন। সেক্ষেত্রে ৩০ এমএল-এর ২ পেগ মদ খাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ মোট ৬০-এমএল। এইটুকু মদ খেয়েই খুশি হতে হবে। নইলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।'
কী কী ক্ষতির আশঙ্কা?
মদ বেশি পরিমাণে খেলে আদতে লিভারের ক্ষতি হবে। হতে পারে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। আর ফ্যাটি লিভার থেকে লিভার ফাইব্রোসিস এবং লিভার সিরোসিস হওয়ার রয়েছে আশঙ্কা। তাই সাবধান হতে বললেন ডাঃ মিত্র।
রেড ওয়াইন চলতে পারে
যাঁদের হাতে কিছুটা পয়সা রয়েছে, তাঁরা এই সময় চেষ্টা করুন রেড ওয়াইন খাওয়ার। কারণ, এই পানীয় হার্টের জন্য একটু হলেও ভাল। এটা ভাল কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। তাই পয়সা থাকলে রেড ওয়াইন খেতে বললেন চিকিৎসক।
চাট নিয়ে সাবধান
ডাঃ মিত্রের কথায়, 'মদ যতটা খারাপ, তার থেকেও বেশি খারাপ হল চাট। চিপস, ভুজিয়া, তেলে ভাজা খেলে শরীরের হাল বিগড়াবেই। তাই চেষ্টা করুন মদের সঙ্গে এসব এড়িয়ে যাওয়ার। তার বদলে খেতে পারেন স্যালাড। তাতেই সুস্থ থাকার কাজে এগিয়ে যাবেন।'
আর ভুল করেও সোডা বা কোল্ড ড্রিংক নিয়ে মদ খাবেন না। তাতেই ক্ষতি হতে পারে শরীরের। তার বদলে শুধু জল চলতে পারে।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।