Advertisement

Alcohol and Liver: দিনে কতটা মদ খেলে লিভারের বাজবে বারোটা? জানালেন নামী গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট

লিভার শরীরের খুবই জরুরি একটি অঙ্গ। এই অঙ্গটি হজমে সাহায্যকারী বাইল তৈরি করে। পাশাপাশি টক্সিন বের করে দেয়। এছাড়াও যকৃত শরীরের একাধিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তবে মাথায় রাখতে হবে, নিয়মিত মদ্যপান করলে লিভার খারাপ হতে পারে। এই অঙ্গে বাসা বাঁধতে পারে ভয়াল অসুখ।

কতটা মদ লিভারের জন্য ক্ষতিকর?কতটা মদ লিভারের জন্য ক্ষতিকর?
সায়ন নস্কর
  • 27 Oct 2025,
  • अपडेटेड 8:32 AM IST
  • লিভার শরীরের খুবই জরুরি একটি অঙ্গ
  • এই অঙ্গটি হজমে সাহায্যকারী বাইল তৈরি করে
  • পাশাপাশি টক্সিন বের করে দেয়

লিভার শরীরের খুবই জরুরি একটি অঙ্গ। এই অঙ্গটি হজমে সাহায্যকারী বাইল তৈরি করে। পাশাপাশি টক্সিন বের করে দেয়। এছাড়াও যকৃত শরীরের একাধিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তবে মাথায় রাখতে হবে, নিয়মিত মদ্যপান করলে লিভার খারাপ হতে পারে। এই অঙ্গে বাসা বাঁধতে পারে ভয়াল অসুখ।

এখন প্রশ্ন হল, কতটা মদ নিয়মিত পান করা লিভারের জন্য ক্ষতিকর? সেই উত্তরটা জানতে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম কলকাতার ঢাকুরিয়ার মণিপাল হাসপাতালের বিশিষ্ট গ্যাস্ট্রোএনটেরোজিস্ট্র ডাঃ দেবোত্তম বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। আসুন দ্রুত তাঁর মতামত জানা যাক।

মদ লিভারের জন্য টক্সিক

মদ অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি পানীয়। এতে নানা ধরনের রাসায়নিক উপস্থিত রয়েছে যা শরীরের ক্ষতি করতে পারে। এমনকী বারোটা বাজাতে পারে লিভারের। তবে সপ্তাহে একদিন অল্প পরিমাণে মদ খেলে খুব একটা ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না। এক্ষেত্রে ৬০-এমএল-এর কম খেলে বিপদের আশঙ্কা খুব কম বলে জানালেন ডাঃ বন্দ্যোপাধ্যায়।

কতটা মদ খেলে হতে পারে ক্ষতি?

ডাঃ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কোনও পুরুষ বা মহিলা যদি প্রায় রোজই মদ্যপান করেন, তাহলে বিপদ হতে পারে। এক্ষেত্রে পুরুষেরা ৬০ এমএল-এর বেশি এবং মহিলারা ৩০ থেকে ৪০-এমএল-এর বেশি মদ খেলেই বিপদ। বিশেষত, এটা যদি কয়েক বছরের অভ্যাস হয়, সেক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেশি। আর এই সমস্যাকে অ্যালকোহল রিলেটেড লিভার ডিজিজ বলা হয়। তাই নিয়মিত মদ্যপান করা কোনও ভাবেই উচিত হবে না। এ বার একটু সাবধান হন। চেষ্টা করুন কম মদ খাওয়ার। মাসে একবার অল্প মদ খেলে তেমন একটা বিপদ হবে না।'

যেতে পারে প্রাণ

মনে রাখবেন, মদ খেয়ে হওয়া লিভার ডিজিজের জন্য শরীরের হাল একবারে বিগড়ে যেতে পারে। এমনকী প্রাণ নিয়ে পড়তে পারে টানাটানি। তাই মদ্যপানের থেকে সাবধান হয়ে যান।

ফাস্ট ফুডও এড়িয়ে যান

ডাঃ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, শুধু মদকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এর পাশাপাশি নিয়মিত ফাস্ট ফুড খাওয়াও সমান ক্ষতিকর। কারণ, এর থেকেও লিভারে ফ্যাট জমতে পারে।

Advertisement

এছাড়া ওজন বেশি থাকা, পরিশ্রম না করাকেও লিভারের জন্য ক্ষতিকর বলে জানালেন তিনি। তাই এই সব ভুল শুধরে নিন। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খান। পাশাপাশি এক্সারসাইজ হল মাস্ট। তাতেই সুস্থ থাকার কাজে এগিয়ে যাবেন বলে মনে করেন ডাঃ বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

Read more!
Advertisement
Advertisement