Advertisement

Dengue Platelet Drop: ডেঙ্গি বাড়ছে, প্লেটলেট কতটা নামলে বিপদ? bangla.aajtak.in-কে জানালেন ডাক্তার

প্লেটলেট কতটা নামলে বিপদ হয়? বাইরে থেকে প্লেটলেট দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে? সেই প্রশ্নের উত্তরটা আমাদের জানালেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের জনস্বাস্থ্য বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডাঃ শিঞ্জিনী ঘোষ।

ডেঙ্গিতে প্লেটলেট ড্রপডেঙ্গিতে প্লেটলেট ড্রপ
সায়ন নস্কর
  • কলকাতা,
  • 11 Nov 2025,
  • अपडेटेड 2:44 PM IST
  • প্লেটলেট কতটা নামলে বিপদ হয়?
  • বাইরে থেকে প্লেটলেট দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে?
  • সেই প্রশ্নের উত্তরটা আমাদের জানালেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের জনস্বাস্থ্য বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডাঃ শিঞ্জিনী ঘোষ

সাধারণত নভেম্বর মাসে ডেঙ্গি বাংলা থেকে বিদায় নিয়ে নেয়। তবে গত কয়েকবছর এই ট্রেন্ড যেন বদলে গিয়েছে। যার ফলে নভেম্বর মাসেও বাড়ছে ডেঙ্গি। এমন পরিস্থিতিতে অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করা হচ্ছে। তাদের কারও কারও লাগছে প্লেটলেট।

এখন প্রশ্ন হল, প্লেটলেট কতটা নামলে বিপদ হয়? বাইরে থেকে প্লেটলেট দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে? সেই প্রশ্নের উত্তরটা আমাদের জানালেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের জনস্বাস্থ্য বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডাঃ শিঞ্জিনী ঘোষ

প্লেটলেট কী?

রক্তের একটি অংশ হল প্লেটলেট। এটি রক্তকে জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। তাই প্লেটলেট লেভেল কমে গেলে বাড়তে পারে বিপদ। তখন রক্তপাত শুরু হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে জানালেন ডাঃ ঘোষ।

ডেঙ্গিতে প্লেটলেট কমে যায় কেন?

'এটির জটিল বিজ্ঞানসম্মত কারণ রয়েছে। তবে সহজে বললে ডেঙ্গি ভাইরাস শরীরে হামলা চালালে প্লেটলেট ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। যার ফলে তার লেভেল স্বাভাবিকের তুলনায় নীচে চলে আসতে পারে। তখন বিপদ বাড়ে।' বলেন ডাঃ ঘোষ।

কতটা নামলে বিপদ?

ডাঃ ঘোষ বলেন, 'প্লেটলেট ১৫০০০০ থেকে ৪৫০০০০ লক্ষ পর্যন্ত থাকা স্বাভাবিক। তবে ডেঙ্গি হলে অনেকটা কমে যেতে পারে প্লেটলেট। এক্ষেত্রে ৫০ হাজার বা ১০ হাজার পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। আর এমন পরিস্থিতিতে সাবধান হতে হবে। দ্রুত নিতে হবে ব্যবস্থা'

কখন প্লেটলেট দিতে হবে?

এটা সাধারণভাবে বলা সম্ভব নয় বলে মনে করেন ডাঃ ঘোষ। তিনি বলেন, 'এক একজন মানুষ আলাদা। তাঁদের সমস্যাও আলাদা। তাই কাকে কখন প্লেটলেট দিতে হবে, সেটা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। এই বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকই সিদ্ধান্ত নেবেন।'

কী করতে হবে?

জ্বর, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, মাথা ব্যথা থাকলে প্রথমে ডেঙ্গি এনএস১ টেস্ট করে ফেলতে হবে। সেই টেস্টেই রোগটা ধরা পড়ে যাবে। তারপর নিয়মিত করতে হবে প্লেটলেট কাউন্ট টেস্ট। সেটা দেখেই চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেবেন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন রয়েছে কি না, এমনটাই জানালেন ডাঃ ঘোষ।

Advertisement

ওষুধের নিয়ে বাড়াবাড়ি নয়

এই সময় ভাল মতো জল খেতে হবে। পাশাপাশি শাক, সবজি, ফল, মাছ, মাংস খান। তাতেই উপকার পাবেন। এছাড়া ওষুধ হিসাবে প্যারাসিটামল এবং ভিটামিন সি দেওয়া যেতে পারে। আর কোনওভাবেই অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাবেন না। এই ভুলে প্রাণ পারে।

বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

Read more!
Advertisement
Advertisement