লিভার শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এই অঙ্গটি খাবার হজমে করে সাহায্য। বিপাকের হার করে নিয়ন্ত্রণ। পাশাপাশি শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ দেয় বের করে। যার ফলে আমরা সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে পারি।
তবে মাথায় রাখতে হবে, ওজন অনেকটা বেড়ে গেলে আদতে লিভারের হাল বিগড়ে যেতে পারে। পিছু নিতে পারে ফ্যাটি লিভার, লিভার সিরোসিস, লিভার ফাইব্রোসিসের মতো সমস্যা। তাই ওজন কমানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। মেদ ঝরিয়ে ফেললেই অনায়াসে লিভারের অসুখের থেকে দূরে থাকা যাবে।
কী জানা যাচ্ছে?
ইউএস-এর স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েবএমডি-এর মতে,শুধু ওজন কমিয়েই প্রি সিরোটিক MASLD (Metabolic dysfunction-associated steatotic liver disease) রিভার্স করা যায়। এখানে বলে রাখি, প্রি সিরোটিক MASLD খুবই জটিল একটি অসুখ। এই রোগে আক্রান্ত হলে লিভারের খুব বড় ক্ষতি হয়। এর জন্য লিভার ক্যানসার এবং মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে।
কতটা ওজন কমালে দূরে থাকবে লিভারের অসুখ?
এই প্রশ্নের উত্তরে বিশেষজ্ঞরা জানান, শরীরের ওজন মোটামুটি ১০ শতাংশ কমাতে হবে। তার পর চেষ্টা করতে হবে নিজের উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক BMI-তে (১৮ থেকে ২৪ বিএমআই-এর মধ্যে) ওজনকে নিয়ে চলে আসার।
আর শুধু ওজন কমানো নয়। পাশাপাশি আপনাকে ভুঁড়ি কমাতে হবে। তাতেই উপকার মিলবে। দূরে থাকবে লিভারের অসুখ।
দ্রুত ওজন কমান
ওজন যদি বেশি থাকে, তাহলে আজ থেকেই তা কমানোর কাজে লেগে পড়ুন। সেক্ষেত্রে সবার প্রথমে ডায়েটে বদল আনুন। খেতে পারেন শাক, সবজি এবং ফল। পাশাপাশি ডালিয়া, ওটস এবং আটার রুটিও নিয়মিত খেতে হবে। খাওয়া যাবে না তেল, মশলা সমৃদ্ধ কোনও খাবার। এমনকী ভাজা খাবারও এড়িয়ে যেতে হবে। তাতেই উপকার মিলবে। কমে যাবে ওজন।
এক্সারসাইজ হল মাস্ট
দিনে অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম জরুরি। এর থেকে বেশি সময় ব্যায়াম করতে পারেন। তবে এর থেকে কম সময় করা যাবে না।
এক্ষেত্রে হাঁটতে পারেন, সাইকেল চালাতে পারেন, করতে পারেন জগিং। এমনকী জোরে হাঁটলেও পাবেন লাভ। যদিও কেউ চাইলে জিমে গিয়ে ব্যায়াম করতে পারেন। তাতেও লাভ মিলবে হাতেনাতে।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।