বাজারে এখন হাজার রকমের রিফাইন তেল রয়েছে। তবে তারপরও সর্ষের তেলের চাহিদা কমছে কই! বরং এই তেলের প্রতি ভারতীয়দের ভালোবাসা এখনও অটুট। মাংস থেকে মাছ, পোস্ত থেকে ঘুঘনি, যে কোনও পদেই এর অবাধ ব্যবহার।
তবে মাথায় রাখতে হবে, এই অতি পরিচিত তেলেও এখন মেশানো হচ্ছে ভেজাল। এই তেলে ক্ষতিকর সব রাসায়নিক ও কম দামি তেল মেশানো হচ্ছে। আর এই ভেজাল মিশ্রিত তেল খেলে আদতে শরীরের হাল বিগড়ে যেতে পারে।
তাই ভেজাল সর্ষের তেলের থেকে দূরে থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন প্রশ্ন হল, ঠিক কীভাবে চেনা যাবে এই তেলে ভেজাল রয়েছে কি না? আর সেই উত্তর জানতে চাইলে পড়ুন নিবন্ধটি।
ফ্রিজিং টেস্ট
সর্ষের তেলে ভেজাল মেশানো রয়েছে কি না, সেটা বুঝতে গেলে করতে হবে ফ্রিজিং টেস্ট। এই টেস্ট করতে চাইলে সবার প্রথমে একটা পাত্রে সর্ষের তেল নিন। তারপর সেই পাত্রটিকে ফ্রিজে রাখুন ঢুকিয়ে। কয়েক ঘণ্টা পর বের করুন তেল। এরপর যদি দেখেন সর্ষের তেল তরল অবস্থাতেই রয়েছে, তাহলে বুঝবেন এটি একবারে বিশুদ্ধ। এই তেল খেলে কোনও সমস্যা নেই।
তবে যদি দেখেন তেলের কিছুটা অংশ জমে গিয়েছে, তাহলে ধরে নিতে হবে এতে পাম তেল বা অন্য কিছু ক্ষতিকর উপাদান মেশানো রয়েছে। তার ফলেই এই হাল হয়েছে তেলের। এভাবে খুবই সহজেই আপনি সর্ষের তেলের বিশুদ্ধতা ধরে ফেলতে পারবেন।
রাবিং টেস্ট
তেলের ভেজাল ধরতে রাবিং টেস্ট করে ফেলুন। এক্ষেত্রে হাতের তালুতে তেল নিন। তারপর দুটি হাত একে অপরের সঙ্গে ঘঁষে নিন।
এরপর হাতের দিকে তাকান। নিন গন্ধ। এক্ষেত্রে তেল বিশুদ্ধ হলে হাতের রং বদলাবে না। বরং চোখের সামনে আনলে এর ঝাঁঝের জন্য চোখ জ্বালা করতে পারে। তবে এতে ভেজাল মেশানো থাকলে ত্বকের রং বদলে যাবে। পাশাপাশি এই তেলের গন্ধও তেমন একটা মিলবে না।
নাইট্রিক অ্যাসিড টেস্ট
এটি রাসায়নিকের মাধ্যমে করা একটি পরীক্ষা। তাই এই পরীক্ষা করতে হবে একটু সাবধানে। এক্ষেত্রে নাইট্রিক অ্যাসিড এবং সর্ষের তেল সম পরিমাণে মিশিয়ে নিতে হবে একটি পরিষ্কার গ্লাসে। তারপর গ্লাসটাকে একটু নাড়িয়ে নিন। দেখুন রং বদলে কি না। তেল শুদ্ধ হলে এর রং বদলাবে না। তবে ভেজাল মেশানো থাকলে এর রং হালকা কমলা-হলুদ থেকে লাল হয়ে যেতে পারে। আর এমন তেল খাবেন না।