Advertisement

Spoiled Egg Identification: পচা ডিম বিষের সমান! এসব উপায়ে চিনুন নষ্ট না ভাল আছে

Eggs Identification: পুরনো বা নষ্ট ডিম পেটের জন্য বিষাক্ত হতে পারে। এর ফলে খাদ্যে বিষক্রিয়া, বমি, ডায়েরিয়া, জ্বর হতে পারে। সবচেয়ে খারাপ দিক হল, কখনও কখনও আমরা বুঝতেও পারি না যে ডিমটি নষ্ট হয়ে গেছে।

প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 10 Nov 2025,
  • अपडेटेड 2:10 PM IST

সিদ্ধ, ভাজা, পোচ, হাফ বয়েল কিংবা রকমারি পদ, ডিম অনেকেরই প্রিয় খাবারের তালিকায় একেবারে উপরের দিকে থাকে। বলা যায়, ডিম পছন্দ করেন না এরকম মানুষ খুব কমই আছে। এটি রান্না করা যেমন সহজ, তেমন পুষ্টিগুণে ভরপুর। ডিম শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বেশিরভাগ মানুষই তাদের শরীরে প্রোটিনের ঘাটটি পূরণ করতে ডিম খান। কিন্তু ভাবুন তো, যদি আপনাকে সুস্থ রাখার পরিবর্তে, ডিম খেলে ক্ষতি হয়? 

পুরনো বা নষ্ট ডিম পেটের জন্য বিষাক্ত হতে পারে। এর ফলে খাদ্যে বিষক্রিয়া, বমি, ডায়েরিয়া, জ্বর হতে পারে। সবচেয়ে খারাপ দিক হল, কখনও কখনও আমরা বুঝতেও পারি না যে ডিমটি নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায়শই, আমরা ফ্রিজে সংরক্ষিত ডিম রেখে, ধরে নিই যে সেগুলি ভাল আছে। কিন্তু বাস্তবে অনেক সময়ই ব্যাকটেরিয়া (যেমন সালমোনেলা) ডিমের উপর জন্মায় এবং খেলে শরীরের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

ডিম খাওয়ার জন্য উপযুক্ত কিনা তা কীভাবে বোঝা যায় তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জেনে নিন, কীভাবে এক নজর দেখেই বুঝবেন ডিম ভাল আছে না নষ্ট। 

আরও পড়ুন

খারাপ ডিম চেনার উপায়

* মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ পরীক্ষা করে দেখুন: যদি প্যাকেজ করা ডিম খান, তাহলে প্রথমে প্যাকেজে ব্যবহারের তারিখ বা ব্যবহারের আগে তারিখ পরীক্ষা করে দেখুন। যদি সেই তারিখ অতিক্রান্ত হয়ে যায়, তাহলে এই ডিম খাওয়া নিরাপদ নয়।

* ডিমের খোসা ভেঙে গেলে: যদি ডিমের খোসা ফেটে যায়, ভেঙে যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে ব্যাকটেরিয়া ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। এই ধরনের ডিম অবিলম্বে ফেলে দিন।

* আঠালো খোসা: যদি ডিমের খোসা স্পর্শে আঠালো বা ভেজা মনে হয়, তাহলে এটি নষ্ট হওয়ার লক্ষণ। এমন ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

* খোসার উপর সাদা পাউডার বা ছত্রাক: যদি আপনি খোসার উপর সাদা ধুলোর মতো স্তর বা ছত্রাক দেখতে পান, তাহলে বুঝতে হবে ডিমটি নষ্ট হয়ে গেছে।

Advertisement

* ডিপ টেস্ট: একটি পাত্রে ঠান্ডা জল ভরে ডিমটি ফেলে দিন। যদি ডিমটি নীচে ডুবে যায় এবং সমতল হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে এটি তাজা। তবে, যদি এটি ভেসে ওঠে, তবে বুঝতে হবে এটি পুরনো বা নষ্ট।

* যদি ডিম ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে পচা বা সালফারযুক্ত গন্ধ হয়, তাহলে এটি নষ্ট হয়ে গেছে। অবশ্যই ফেলে দিন।

* সাদা অংশ বা কুসুম অস্বাভাবিক রঙের হয়: যদি ডিমের সাদা অংশ গোলাপী, সবুজ, বা ধূসর দেখায়, অথবা কুসুম খুব ফ্যাকাশে বা চ্যাপ্টা দেখায়, তাহলে তা ভোজ্য নয়।

* ডিমের সাদা অংশ খুব পাতলা: তাজা ডিমের সাদা অংশ একটু ঘন হয়। যদি ভাঙার সময় জলের মতো হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন এটি পুরনো ডিম। ফলে তা না খাওয়াই ভাল। 

* কুসুম ফ্যাকাশে: একটি তাজা ডিমের কুসুম গোলাকার এবং শক্ত। যদি এটি চ্যাপ্টা বা ফ্যাকাশে হয়, তাহলে এটি আর তাজা থাকে না।

* যদি ঝাঁকানোর সময় ভেতর থেকে ছিটকে পড়ার শব্দ হয়: যদি ডিমটি সামান্য ঝাঁকানোর সময় ছিটকে পড়ার শব্দ হয়, তাহলে এর অর্থ হল ভিতরে গ্যাস বা তরল তৈরি হয়েছে, যার অর্থ ডিমটি খারাপ হয়ে গেছে।

* আলোতে ডিমটি দেখুন: যদি আপনি টর্চ বা বাল্বের আলোতে ডিমটি দেখেন এবং ভিতরে বড় বায়ু স্থান (বায়ু বুদবুদ) দেখতে পান, তাহলে বুঝতে হবে ডিমটি পুরনো।

ডিম যখন তাজা থাকে তখন খুবই স্বাস্থ্যকর, কিন্তু সামান্য অসাবধানতাও খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে। ডিম সব সময় ফ্রিজে এবং সিল করা পাত্রে সংরক্ষণ করুন। মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ পরীক্ষা করুন।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement