পর্যাপ্ত ও গভীর ঘুম শুধু ক্লান্তি দূর করে না, এটি শরীর ও মনের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু অনেকেই রাতে সহজে ঘুমাতে পারেন না বা মাঝরাতে বারবার জেগে ওঠেন। এর প্রধান কারণ হতে পারে ভুল জীবনযাত্রা ও অভ্যাস।
তাহলে গভীর ও নিরবচ্ছিন্ন ঘুম পেতে রাতে কী করবেন এবং কী করা উচিত নয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে গেলে এবং উঠলে শরীরের বায়োলজিক্যাল ক্লক সেট হয়ে যায়, যা দ্রুত ও গভীর ঘুম আনতে সাহায্য করে।
ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগে হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খান। গরম দুধ, বাদাম, কলা, ওটস জাতীয় খাবার মেলাটোনিন হরমোন বাড়িয়ে ঘুম আনতে সাহায্য করে।
স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা টিভির নীল আলো (Blue Light) মেলাটোনিন উৎপাদন বাধাগ্রস্ত করে। তাই ঘুমানোর অন্তত ৩০ মিনিট আগে এগুলো বন্ধ করুন।
ঘুমের আগে ধ্যান, হালকা যোগব্যায়াম বা বই পড়া মস্তিষ্ককে শান্ত করে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করে।
গভীর ঘুমের জন্য ঘরের তাপমাত্রা ১৮-২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখা ভালো। প্রয়োজনে ব্ল্যাকআউট পর্দা ব্যবহার করুন।
চা, কফি বা ধূমপানের ফলে মস্তিষ্ক উত্তেজিত হয়, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই সন্ধ্যার পর এগুলো এড়িয়ে চলুন।
মসলাদার বা চর্বিযুক্ত খাবার রাতে হজম হতে সময় নেয়, যা অস্বস্তি তৈরি করে ও ঘুম নষ্ট করতে পারে।
অতিরিক্ত জল পান করলে বারবার বাথরুমে যেতে হতে পারে, যা গভীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
চিন্তা বা মানসিক চাপ থাকলে মস্তিষ্ক সচল থাকে, ফলে সহজে ঘুম আসে না। রাতে কাজ বা চিন্তার চাপ কমান।
গভীর ও নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের জন্য নিয়মিত ঘুমানোর রুটিন তৈরি করা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস রাখা ও মানসিক চাপ কমানো জরুরি। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা মেনে চললে ঘুমের মান উন্নত হবে ও সারাদিন আপনি সতেজ অনুভব করবেন।