বর্তমান সময়ে পিঠের ব্যথা এখন প্রায় প্রত্যেকের কমন সমস্যা। দীর্ঘ সময় বসে কাজ করা, খারাপ লাইফস্টাইল এবং শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে এই সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। সঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদে আরও গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। তাই পিঠের ব্যথার কারণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
অনেকেই কাজের চাপে দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকেন। এর ফলে মেরুদণ্ডে চাপ পড়ে এবং পিঠে ব্যথা শুরু হয়।
চেয়ারে বসে কাজ করার সময় ভুল ভঙ্গি, যেমন কুঁজো হয়ে বসা বা সঠিকভাবে না বসা, পিঠে ব্যথার প্রধান কারণগুলির একটি।
ভারী জিনিস ভুলভাবে তোলা বা অতিরিক্ত ভার বহনের ফলে মেরুদণ্ডের গঠনে সমস্যা দেখা দেয় এবং পিঠে ব্যথা হয়।
পিঠে সরাসরি আঘাত লাগা বা দুর্ঘটনার ফলে পিঠের পেশি এবং হাড়ে সমস্যা দেখা দেয়, যা ব্যথার কারণ হতে পারে।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরের পেশিকে টানটান করে রাখে, যার প্রভাব পিঠের উপর পড়ে এবং ব্যথা হতে পারে।
শরীরচর্চার অভাবে পিঠের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে পিঠে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
চেয়ারে বসে কাজ করার সময় মেরুদণ্ড সোজা রাখুন এবং পা মাটির উপর রাখুন। ভুল ভঙ্গি এড়িয়ে চলুন।
পিঠের পেশি শক্তিশালী করতে হালকা ব্যায়াম বা যোগাসন করুন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করার চেষ্টা করুন।
পিঠের ব্যথা কমাতে গরম বা ঠান্ডা সেঁক অত্যন্ত কার্যকর। ব্যথার স্থানে কয়েক মিনিট গরম প্যাড ব্যবহার করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম এবং শারীরিক বিশ্রাম পিঠের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
ভারী জিনিস তোলার সময় মেরুদণ্ডে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। তাই হাঁটু ভাঁজ করে সঠিক ভঙ্গিতে তুলুন।
সঠিক ফার্নিচার ব্যবহারে পিঠে অতিরিক্ত চাপ পড়ে না। আরামদায়ক গদি এবং সমর্থনযুক্ত চেয়ার ব্যবহার করুন।
অতিরিক্ত ওজন মেরুদণ্ডে চাপ ফেলে। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
স্ট্রেস কমাতে মেডিটেশন, যোগাসন বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন।
পিঠের ব্যথা প্রতিরোধ সম্ভব যদি আমরা সঠিক জীবনধারা মেনে চলি। সঠিক ভঙ্গি, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের মাধ্যমে পিঠের ব্যথা সহজেই এড়ানো যায়। তবে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সুস্থ থাকার জন্য এখন থেকেই সচেতন হোন।