মুখের ভেতরে কোনও ঘা হলে, খাওয়া দাওয়া তো বটেই সমস্যা হয় রোজকার অন্যান্য কাজেও। নানা কারণে এ ধরণের ঘা হতে পারে। তাই সবসময়ই মুখের আলসার হলে সতর্ক থাকতে হয়। অস্বস্তি বেড়ে গেলে সমস্যা হতে পারে।
কী কারণে হতে পারে এই আলসার?
কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, হরমোনের সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হয়। এ ছাড়া শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি-র ঘাটতির কারণেও এই রোগ হতে পারে। এক বার এই রোগের কবলে পড়লে এর থেকে রেহাই পাওয়া মুশকিল।
এমন হলে কী করবেন?
মুখে আলসার হলে, ঝাল, টক জাতীয় খাবার একেবারেই খাবেন না। এতে বারবার জ্বালা হতে পারে মুখের ভেতরে। সেখান থেকে সেই ঘা আরও বাড়তে পারে। সে কারণেই এ ধরণের খাবার খেতে বারণ করা হয়। মুখ সবসময় পরিস্কার রাখা উচিত। আর সে কারণে দিনে দুইবার নয়, পারলে ৩ বার ব্রাশ করা উচিত। পাশাপাশি বারে বারে প্রচুর জল খেতে হবে।
কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন?
মুখের ক্ষত অংশে কয়েক ফোঁটা মধু লাগাতে পারেন। কারণ মধুতে থাকে অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল উপাদান। সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে মধু। তাই এ ধরণের সমস্যায় মুখের ক্ষত স্থানে মধু ব্যবহার করলে দারুণ উপকার পেতে পারেন।
যেখানে আলসার হয়েছে, সেখানে বিশুদ্ধ নারকেল তেল লাগালেও আরাম পাবেন। শুধু রূপচর্চার জন্য নয়, নারকেল তেল এ ক্ষেত্রেও দারুণ কাজ করতে পারে। তবে এর পাশাপাশি আরও অনেক কাজে নারকেল ত্তেল ব্যবহার করতে পারেন।
জলের সঙ্গে সামান্য ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এ বার সেই জল দিয়ে প্রতিদিন দু’বার করে কুলকুচি করুন। ভিনিগারের গুণের কারণে আলসারের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
নুন জল দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁত ভাল থাকে। মুখে আলসার কমাতেও একই টোটকা কাজে লাগাতে পারেন। তবে এমনটা করলে মুখের ভেতরে ক্ষত স্থানে জ্বালা করতে পারে। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা খুব জরুরী।
বাজার থেকে কিনে আনা অ্যালো ভেরা জেল নয়, অ্যালো ভেরা গাছের শাঁস টাটকা বার করে মুখে ঘায়ের স্থানে নিয়ম করে ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালো ভেরার অ্যান্টিইমফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল গুণ ঘা শুকোতে সাহায্য করে।