বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। বিশেষত ৪০ বছরের পরে, অস্টিওপরোসিস বা আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে শুরু করেন বহু মানুষ। বিশেষজ্ঞরা এজন্যে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। পুরো শরীর হাড়ের উপর নির্ভর করে।
শরীরকে গঠন প্রদান করে, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রক্ষা করে, পেশীকে সমর্থন করে এবং ক্যালসিয়াম সঞ্চয় করে হাড়। শৈশব এবং কৈশোরে হাড়ের যত্ন নেওয়া এবং শক্তিশালী করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে, কিছু জিনিস করতে পারেন যাতে হাড় শক্তিশালী থাকে।
হাড়ের স্বাস্থ্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?
হাড় সর্বদা পরিবর্তিত হয়। শরীর ক্রমাগত নতুন হাড় তৈরি করে এবং পুরনো হাড় ভেঙে দেয়। এই প্রক্রিয়াটিকে পুনর্নির্মাণ বলা হয়। তরুণ বয়সে পুরনো হাড় ভাঙার চেয়ে নতুন হাড় দ্রুত তৈরি হয়। অতএব, আপনার শরীরের হাড়ের ভর বৃদ্ধি পায়।
বেশীরভাগ মানুষ ৩০ বছর বয়সের কাছাকাছি তাদের সর্বোচ্চ হাড়ের ভরে পৌঁছায়। এর পরে, হাড়ের পুনর্নির্মাণ চলতে থাকে। কিন্তু আপনি যা অর্জন করেন তার চেয়ে কিছুটা বেশি হারান (নতুন হাড়ের ভর আকারে)। ফলে এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা হাড়কে শক্তিশালী রাখতে পরিচিত।
দুধজাত দ্রব্য
দুধ, দই এবং পনির হল ক্যালসিয়ামের চমৎকার উৎস যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। এগুলিতে প্রোটিনও থাকে যা হাড়ের সঙ্গে পুরো শরীরকে পুষ্টি জোগায়।
টোফু
টোফু ক্যালসিয়ামের একটি ভাল উৎস। যাদের ল্যাকটোজে সমস্যা এবং উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবার খান, তাদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে।
সবুজ শাকসবজি
মেথি, পালং শাক, বকচয়ের মতো সবুজ শাকসবজি ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন কে সমৃদ্ধ, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়াও, এগুলি অনেক ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস।