
নভেম্বর শুরু হতে না হতেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে এবং তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। বিশেষত ভোরের দিকে হালকা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। অনুমান অনুযায়ী, উত্তর ভারতে আগামী সপ্তাহে ঠান্ডা বাড়তে পারে। পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রাও কমতে চলেছে। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের প্রতি আরও বেশি যত্নবান হতে হবে এখন থেকেই। আয়ুর্বেদ অনুসারে, শীতকাল এমন একটি ঋতু যেখানে প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এই ঋতুতে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় এবং নতুন ঋতুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে শরীর থার্মোরগুলেশনের মধ্য দিয়ে যায়।
কখনও কখনও এই পরিবর্তন শীতের ঋতুর অনেক রোগও ডেকে আনতে পারে। তবে আপনি যদি কিছু সতর্কতা অবলম্বন করেন, তবে আপনি সেগুলি এড়িয়ে শীতের ঋতু উপভোগ করতে পারেন। জেনে নিন কীভাবে শীতে সুস্থ থাকতে পারবেন।
স্বাস্থ্যকর ডায়েট
গোটা শস্য, চর্বিহীন মাংস, মাছ, মুরগি, লেবু, ড্রাই ফ্রুটস, বীজ, মশলা, তাজা ফল এবং শাকসবজি সহ একটি সুষম খাদ্য খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আমরা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। কারণ এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ব্যায়াম
শীতে নিজেকে ফিট রাখতে শারীরিক পরিশ্রম করুন। আপনি যোগব্যায়াম, দৌড়, হাঁটা বা শক্তি প্রশিক্ষণ করে আপনার শরীরকে উষ্ণ রাখতে পারেন। এটি আপনাকে ফ্লু বা ঠান্ডার মতো মৌসুমী রোগ থেকে রক্ষা করার সাথে সাথে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী রাখবে।
ময়েশ্চারাইজার
শীতে ত্বকের ক্ষতি একটি বড় ঝুঁকি। ঠাণ্ডা ঋতু ত্বকের ক্ষতি করে, যার ফলে ত্বক শুষ্ক ও চুলকায়, ঠোঁট ফাটে এবং গোড়ালি ফাটতে পারে। শীতে ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না।
জল
প্রতিদিন প্রয়োজনীয় পরিমাণ জল পান করুন এবং হাইড্রেটেড থাকুন। জল আমাদের সিস্টেমকে পরিষ্কার করতে এবং টক্সিন অপসারণ করতে, শরীরের কোষগুলিতে পুষ্টি পরিবহন করতে এবং শরীরের তরলগুলির ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
ঘুম
ভাল ঘুম শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল দূর করে এবং পেশী পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করুন।