
নুন শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে মজুত সোডিয়াম ব্লাড প্রেশার বাড়াতে পারে। যার ফলে হার্টের হতে পারে ক্ষতি। এমনকী কিডনির হালও বিগড়ে যেতে পারে। তাই অনেকেই সাদা নুন খাওয়া ছেড়েছেন। তার বদলে ভরসা রাখছেন বিট নুনে। তাতেই নাকি শরীর ফিট থাকবে বলে মনে করছেন তারা।
এখন প্রশ্ন হল, সত্যিই কি বিট নুন খেলে বেশি লাভ হয়? ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না? আর সেই উত্তরটা জানতেই আমরা যোগাযোগ করেছিলাম কলকাতার বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদারের সঙ্গে। তাই ঝটপট তাঁর পরামর্শ জেনে নিন।
বিট নুন কি ভাল?
এই প্রশ্নের উত্তরে মীনাক্ষী মজুমদার বলেন, 'এমন একটা ধারণা অনেকের মনেই রয়েছে। তাই তারা সাদা নুনের বদলে পিঙ্ক সল্ট খান। আর এই ভুলেই তাদের শরীরের হাল বিগড়ে যেতে পারে। তাই বিট নুন যে ভাল, এই ধারণাটা মাথা থেকে বের করে দিতে হবে।'
হতে পারে বিরাট ক্ষতি
মীনাক্ষী মজুমদার জানালেন, যা যা ক্ষতি সাধারণ নুন খেলে হয়, এক্ষেত্রেও তাই। বিট নুনও শরীরের জন্য ভাল নয়। এটা শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। বাড়তে পারে প্রেশার। পাশাপাশি কিডনি, হার্ট খারাপ হতে পারে। সেই সঙ্গে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও এই কারণে বাড়তে পারে। তাই বিট নুনের থেকেও যতটা সম্ভব দূরে থাকতে হবে।
কতটা চলতে পারে?
অনেকেই ফল, তরকারির উপর নুন ছড়িয়ে খান। আর এই ভুলটা করেন বলেই বিপদ বাড়ে। তাই এই ভুলটা সবার আগে এড়িয়ে চলতে হবে। কাঁচা নুন চলবে না বলে জানালেন এই ডায়েটিশিয়ান।
এছাড়া যাঁরা সুস্থ রয়েছেন, যাঁদের কোনও অসুখ নেই, তাঁরা দিনে ৬ গ্রামের মতো নুন খেতে পারেন। তবে সেটাও রান্নায় খেতে হবে। কাঁচা খাওয়া চলবে না। তাহলেই রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা কমবে।
আবার যাঁদের ইতিমধ্যেই হার্টের অসুখ, স্ট্রোক বা হাইপারটেনশন রয়েছে, তাঁরা একবারে চিকিৎসকের কথা মেনে মেপে নুন খান। এমনটাই জানালেন মীনাক্ষী মজুমদার।
লো সোডিয়াম চলতে পারে
নুনের সবথেকে ক্ষতিকর হল সোডিয়াম। এটাই যত নষ্টের গোড়া। তাই আপনি চাইলে লো সোডিয়াম নুন খেতে পারেন। তাতে সমস্যার আশঙ্কা কম। তবে এই নুনও বেশি খাওয়া যাবে না। বরং কম পরিমাণেই খেতে হবে। তাতেই সুস্থ থাকতে পারবেন বলে মনে করেন এই ডায়েটিশিয়ান।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।