আমাদের মধ্যে অনেকেই কফির নেশায় বুঁদ। তাঁদের দিনের শুরুতে এই পানীয়ে চুমুক না দিলে ঘুম কাটে না। আর হিসেবটা এখানেই শেষ নয়। বরং সকালে শুরু হওয়ার পর থেকে সারাদিন ধরে বহুবার চলতে থাকে কফি পান।
তবে এই দলের বিপরীতেও একটা বড় অংশের মানুষ রয়েছেন। যাঁরা মনে করেন কফি খেলে নাকি হয় নেশা! তবে এই কথার পিছনে কি কোনও ভিত্তি রয়েছে? এই উত্তরটা জানতে বাংলা.আজতক.ইন-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল চিকিৎসক রুদ্রজিৎ পালের সঙ্গে। তাই ঝটপট তাঁর পরামর্শ জেনে নিন।
কফি খেলে কি নেশা হয়?
এই প্রশ্নের উত্তরে ডাঃ পাল বলেন, 'কফি খেলে নেশা হয়। আর এটা বিজ্ঞানের দিক থেকেই সত্য। আসলে কফিতে রয়েছে ক্যাফেন। আর সেটাই নেশার কারণ। এটা মস্তিষ্কে সেরোটনিন ক্ষরণে সাহায্য করে। যার ফলে আমাদের ভালো লাগে। তৈরি হয় ক্যাফেন নির্ভরতা। আর এটাই নেশা।'
তাহলে কি কফি খাবেন না?
ডাঃ পালের কথায়, 'না, এমনটা একবারেই নয়। কফির নেশা হলেও এটা ক্ষতিকর পানীয় নয়। এটা থেকে মস্তিষ্ক সজাগ থাকে। ঘুম কেটে যায়। শুধু তাই নয়, কফি খেলে লিভারও সুস্থ থাকে। তাই নিয়মিত কফি খেতেই পারেন। তবে বেশি খাবেন না।'
কতটা কফি খাবেন?
প্রতিদিন খেতে পারেন কফি। তাতে কোনও বারণ নেই। তবে দিনে ৪০০-এমজি-এর বেশি ক্যাফিন শরীরে গেলে বিপদ হতে পারে। এক্ষেত্রে অনিদ্রা থেকে শুরু করে পেটের সমস্যা, মন আনছান করা সহ একাধিক জটিলতা নিতে পারে পিছু। তাই কফি খেতে হলে নিয়ম চলতে বলে জানালেন ডাঃ পাল।
তাঁর কথায়, 'দিনে অন্ততপক্ষে ৩ থেকে ৪ কাপ কফি খেতে পারেন। তাতে কোনও ক্ষতি হবে না। যদিও সন্ধের পর আর কফি খাওয়া চলবে না। এই ভুলটা করলে আদতে ঘুম উবে যেতে পারে। পিছু নিতে পারে অনিদ্রা। তাই এই বিষয়টা মাথায় রাখা অবশ্যই জরুরি।'
দুধ, চিনি দেওয়া কফি নয়
কোনও ভাবেই দুধ বা চিনি মেশানো কফি খাবেন না। এই কাজটা করলে আদতে সমস্যা হবে। বেড়ে যেতে পারে ওজন। এমনকী পেটের সমস্যাও নিতে পারে পিছু। তাই চিনি মেশানো দুধ কফি খেতে বারণ করলেন ডাঃ পাল। তার বদলে খেতে হবে ব্ল্যাক কফি। তাতেই সুস্থ থাকতে পারবেন।