Kidney Detox Drinks: কিডনি খারাপ হওয়ার আগেই যত্ন নিন, এই ৩ ড্রিঙ্কসে পরিষ্কার হবে জমে থাকা টক্সিন
কিডনি সুস্থ রাখতে আগেভাগেই সচেতন হওয়া জরুরি। এই কাজে কিছু প্রাকৃতিক পানীয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।
- আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল কিডনি।
- দিনে-রাতে একটানা কাজ করে কিডনি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়, রক্ত পরিশোধন করে এবং শরীরের জল-লবণের ভারসাম্য বজায় রাখে।
আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল কিডনি। দিনে-রাতে একটানা কাজ করে কিডনি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়, রক্ত পরিশোধন করে এবং শরীরের জল-লবণের ভারসাম্য বজায় রাখে। কিন্তু অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত জল না খাওয়া ও অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে কিডনির উপর মারাত্মক চাপ পড়ে। দীর্ঘদিন এই অবহেলা চলতে থাকলে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (CKD)-এর ঝুঁকি বেড়ে যায়, যা একবার হলে সম্পূর্ণ সেরে ওঠা কঠিন।
তাই কিডনি সুস্থ রাখতে আগেভাগেই সচেতন হওয়া জরুরি। এই কাজে কিছু প্রাকৃতিক পানীয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।
১) লেবুর রস
কিডনির জন্য লেবু জল অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড প্রস্রাবে সাইট্রেটের মাত্রা বাড়ায়, যা ক্যালসিয়ামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়া রোধ করে। যদিও এটি সরাসরি টক্সিন বের করে না, তবে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন
কীভাবে খাবেন:
প্রতিদিন সকালে হালকা গরম জলে একটি লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। যাঁদের অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা সীমিত পরিমাণে পান করবেন।
২) বিটরুটের রস
বিটরুট কিডনির জন্য একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক ডিটক্স উপাদান। এতে থাকা বিটালাইন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিডনি কোষকে সুরক্ষা দেয় এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি ক্রিয়েটিনিন ও ইউরিয়ার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। বিটরুটে থাকা নাইট্রেট কিডনিতে রক্ত সঞ্চালনও বাড়ায়।
কীভাবে খাবেন:
একটি বিট সেদ্ধ করে জলের সঙ্গে বা আপেলের রস মিশিয়ে পান করুন। যাঁদের কিডনিতে পাথরের সমস্যা আছে, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সীমিত পরিমাণে খাবেন।
৩) হিবিস্কাস চা
হিবিস্কাস চা প্রাকৃতিকভাবে কিডনি ডিটক্স করতে সাহায্য করে। এটি প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ায়, শরীরে খনিজ জমা হওয়া কমায় এবং কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি হ্রাস করে। পাশাপাশি এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা কিডনি সুস্থ রাখতে অত্যন্ত জরুরি।
কীভাবে খাবেন:
শুকনো জবা ফুল গরম জলে ভিজিয়ে চিনি ছাড়া চা বানিয়ে দিনে ১-২ বার পান করুন। কিছু ওষুধের সঙ্গে এর প্রতিক্রিয়া হতে পারে, তাই অতিরিক্ত পান করা ঠিক নয়।
গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
এই পানীয়গুলি কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়ক হলেও এগুলি কোনও রোগের চিকিৎসা নয়। নিয়মিত পর্যাপ্ত জল পান, সুষম খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান-মদ্যপান এড়িয়ে চলা এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই কিডনি সুস্থ রাখার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।