
লিভার হজমের ক্ষেত্রে সহায়তা করে। তাই লিভার যে শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, একথা অস্বীকার করার উপায় নেই। যখন লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন কেবল শরীরেই নয়, মুখেও অনেক লক্ষণ দেখা যায়। এই লক্ষণগুলিকে গুরুত্ব সহকারে দেখলে লিভার খারাপ হওয়ার হাত থেকে বাঁচা যেতে পারে। লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ফ্যাকাশে ভাব, ক্লান্তি, মুখ ফোলাভাব, ব্রণ, ত্বক কালো হয়ে যাওয়া এবং মাকড়সার মতো লাল লাল দাগ।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিলিরুবিন বৃদ্ধি, বিষাক্ত পদার্থ জমা হওয়া বা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণেই মুখে এই লক্ষণগুলি দেখা যায়। এগুলো উপেক্ষা করলে লিভার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই এমন লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। নীচে সেই লক্ষণগুলির উল্লেখ করা হল।
জন্ডিস
ত্বক এবং চোখের হলুদ ভাব সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। কারণ লিভার সঠিকভাবে বিলিরুবিন পরিষ্কার করতে পারে না, ফলে জন্ডিস হয়।
ক্লান্তি এবং নিস্তেজ ত্বক
শরীরে বিষাক্ত পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায় এবং মুখ ক্লান্ত দেখায়।
ফোলাভাব
লিভারের সমস্যার কারণে মুখ এবং চোখের নীচে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে ফ্যাটি লিভার। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা টক্সিনের কারণে চোয়াল এবং গালে ব্রণ হতে পারে।
গাঢ় দাগ
চোখের নীচে কালো দাগ এবং ত্বক কালো হয়ে যাওয়া সিরোসিসের লক্ষণ হতে পারে।
মাকড়সার দাগ
যখন লিভারের ক্ষতি হয়, তখন ত্বকে ছোট ছোট মাকড়সার মতো লাল দাগ দেখা যায়। যা লিভার সিরোসিসে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে তৈরি হয়।
সহজেই ক্ষত
লিভার রক্ত জমাট বাঁধার উপাদান তৈরিতে সাহায্য করে। যখন এই কার্যকারিতা সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন শরীরে ক্ষতের প্রবণতা বেড়ে যায়। এমনকি সামান্য আঘাতেও নীল বা বেগুনি ক্ষত হতে পারে।
মুখে এই লক্ষণগুলি দেখলে কী করবেন?
এই লিভারের লক্ষণগুলি দেখলে কখনই তা হেলাফেলা করা উচিত নয়। দ্রুত একজন ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করতে হবে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ মতো পরীক্ষা করাতে হবে। কারণ লিভারের ব্যর্থতা আসলে একটি জরুরি অবস্থা। সময়মত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করলে গুরুতর জটিলতা রোধ করা যেতে পারে।