Quick Weight Loss Diet: যতই ডায়েট করি আর সারা বছর সমঝে চলি না কেন, পুজোয় কটা দিন বেহিসেবি খানাপিনা হবেই। পুজোর পেটপুজোতে বাঙালি পিছিয়ে থাকে না কোনওভাবেই। আর মুঠো আলগা হতেই ওজন বেড়ে যায় এক ধাক্কায়। তাই পুজোর পর ফের পুরনো রুটিনে ফিরলেও তা সহজে কাজে আসে না। আজ আমরা আপনাদের কয়েকটি টিপস জানাব, যেগুলি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা শেয়ার করেছেন।
১. লো-কার্ব ডায়েট
রোগা হওয়ার সহজ উপায় লুকিয়ে একমাত্র লো-কার্ব ডায়েটেই। কারণ, ওজন বাড়ার পিছনে ফ্যাটজাতীয় খাবারের পাশাপাশি কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারও দায়ী। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খেলে তা ফ্যাটে পরিণত হয়। তাই সুস্থ থাকতে ভরসা দিচ্ছে লো-কার্ব ডায়েট।
২. কার্বোহাইড্রেড একেবারে বাদ নয়
ডায়েট থেকে কার্বোহাইড্রেট পুরোপুরি বাদ দেওয়া উচিত নয়। বিশেষজ্ঞের মতে, দৈনন্দিন শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট অবশ্যই প্রয়োজন। বিভিন্ন দানাশস্য যেমন, আটা, ওটস, জোয়ার-বাজরা-এই ধরনের শস্য থেকে তৈরি খাবার শরীরের জন্য ভাল। এতে ফাইবার বেশি থাকায় শরীরে তা ভেঙে সুগার বা ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা তুলনামূলক কম তৈরি করে এবং শরীরে দ্রবীভূত না হয়ে শরীর থেকে সহজে বেরিয়ে যায়।
৩. কী কী রাখবেন পাতে?
পাতে বেশি রাখবেন দানাশস্য জাতীয় খাবার। কিন্তু ভাত বেশি খাবেন না। ভাতে ফাইবারের মাত্রা কম থাকে বলে শরীরে দ্রুত দ্রবীভূত হয়ে ফ্যাটে পরিণত হয়। যে ধরনের খাবারে বেশি করে ফাইবার থাকে সেই ধরনের খাবারের উপর নির্ভর করা ভাল। সারাদিনে একবার ভাত খেলে ক্ষতি নেই। ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনারে একবার ভাত, একবার রুটি এবং আর একবার ওটস বা ডালিয়া রাখলে ভাল। সবুজ সবজিতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকলেও ক্ষতি নেই, কারণ এতে বেশি ফাইবার থাকে। সঙ্গে অবশ্যই গোটা ফল খান।
৪. কী কী খাবেন না?
ময়দা জাতীয় খাবার খাওয়া চলবে না। মোমো কিংবা যে কোনও ময়দার খাবার সিদ্ধ খেলেও ক্ষতি। কারণ এগুলি রিফাইন কার্বোহাইড্রেট বা সিম্পল কার্বোহাইড্রেট। ওজন কমাতে চাইলে চাউমিন, কুকিজ, পেস্ট্রি ও যে কোনও মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
৫. বয়স ও ওজন বুঝে খান
বয়স ও ওজন দু’য়ের উপর ক্যালরির চাহিদা নির্ভর করে। মহিলা ও পুরুষদের চাহিদা আলাদা। এর সঙ্গে কে কোন কাজের সঙ্গে যুক্ত তার উপর কার্বোহাইড্রেট কতটা খাওয়া উচিত নির্ভর করে। যাঁরা সারাদিনে বেশি মাত্রায় কায়িক পরিশ্রম করেন তাঁদের একটু বেশি কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন। যাঁরা বসে কাজ করেন তাঁদের ক্যালরি কম দরকার।